গুমের অভিযোগে র্যাব-২ এর সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তার দেখানো হলে। এই প্রথম কাউকে ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় তাদের গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেল থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এসময় দুজনকেই হাসিখুশি থাকতে দেখা যায়। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
দুজনই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গুম ও গুমের সময় সরাসরি নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রসিকিউশন বলছে, তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে দুটি আবেদন করা হয়।
আবেদন দুটি মঞ্জুর করে সোমবার আদালত তাদের হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে আজ প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে গুমের বিষয়ে একটি মামলা করা হয়। এ দুজনের একজনের নাম আলেপ উদ্দিন ও আরেকজনের নাম মহিউদ্দিন ফারুকী।
গত ১৩ নভেম্বর রাতে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে আলেপ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একইদিন ভোরে রাঙামাটি জেলার কাউখালী (বেতবুনিয়া) এলাকা থেকে মহিউদ্দিন ফারুকীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শনিরআখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুর মামলায় এ দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার আছেন।