মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

মাদ্রাসা শিক্ষকের সাইকেল বাড়ি নিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৫ বার পঠিত হয়েছে
আহত শিক্ষার্থী চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি । ছবি : সংগৃহীত

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বৈদাশীরহাট নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোর শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মারধরের শিকার ইয়াসিন আলী (১৫) উপজেলার সংকৈর গ্রামের বটতলী বাজার এলাকার সামিউল ইসলামের ছেলে। তার বা চোখ, নাক ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ইয়াসিনের বাবা সামিউল ইসলাম বলেন, গত রোববার বিকেলে তার ছেলে মাদ্রাসা থেকে একটি সাইকেল নিয়ে বাড়িতে আসে। পরে তিনি সাইকেলটি মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় ইয়াসিন মাদ্রাসায় যায়। তখন শিক্ষক শাহ আলম তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ছেলেটার চোখ, মুখ, নাক, কান ফেটে রক্ত পড়েছে; হাত-পায়েও আঘাত করেছে।

তিনি আরও বলেন, ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এভাবে চোরকেও কেউ পেটায় না। ছেলে সুস্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরার লাবিব বলেন, ওই শিক্ষার্থীর চোখে গুরুতর আঘাত আছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন আছে। তবে চোখের আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় আমরা রেফার্ড করেছি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলমের মোবাইলে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মো. শাহিন বলেন, মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আমার সাইকেল নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। পরে আমি সাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখি নেই। ভ্যানে করে আমার কাজে চলে গেছি। পরে শুনি আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলম ওই শিক্ষার্থীকে শাসন করেছে। শাসন করতে গিয়ে বেজায়গায় লেগেছে। শিশুটি হাসপাতালে আছে। আমি খোঁজ নিয়েছি।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর