শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন

আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিল গাজার যোদ্ধারা..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭ বার পঠিত হয়েছে
যুদ্ধবিরতির শর্তানুসারে এ তিন জিম্মিকে শনিবার মুক্তি দেওয়া হয়। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আরও তিনজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, যারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার সময় জিম্মি হয়ে পড়েছিলেন। এই জিম্মিরা হলেন : ৫২ বছর বয়সী এলি শরাবি, ৩৪ বছর বয়সী অর লেভি এবং ৫৬ বছর বয়সী ওহাদ বেন অ্যামি।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের মুক্তি গাজা শহরের কেন্দ্রীয় অংশ, দেইর-এল-বালাহ এলাকা থেকে হয়েছে। এই মুক্তির ঘটনাটি ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় সংঘটিত হয়েছে।

জিম্মিদের মুক্তির সময় গাজা উপত্যকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হামাস জিম্মিদের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করে, যেখানে শত শত মুখোশ পরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা উপস্থিত ছিল। জিম্মিদের আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছেন, যারা তাদের নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে গেছেন।

এদিকে জিম্মিদের এই মুক্তির বিনিময়ে, ইসরায়েল ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, যারা ইসরায়েলি কারাগারে আটক ছিলেন। এর মাধ্যমে, একধরনের মানবিক আয়োজনের মাধ্যমে দুপক্ষের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কিছুটা শিথিল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বেন অ্যামি এবং শরাবি, যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর কিবুতজ বেয়েরি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল, তারা হামাসের আক্রমণের সময় বন্দি হয়েছিলেন। অপরদিকে অর লেভি, যিনি একই দিন নভা সঙ্গীত উৎসবে অপহৃত হয়েছিলেন, তিনিও মুক্তি পেয়েছেন।

এই মুক্তির মাধ্যমে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কিছুটা কমানোর আশা করা হচ্ছে। তবে, এই বন্দি বিনিময় চুক্তি একমাত্র সমাধান নয়; দুপক্ষের মধ্যে শান্তির স্থায়ী ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করতে আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর