সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ অপরাহ্ন

পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকুরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন — প্রিয়নাথ রায় ।

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪
  • ৩০ বার পঠিত হয়েছে

পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকুরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন — প্রিয়নাথ রায় ।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাটের গুরু সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের দোসর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১১ নং — মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া গ্রামের প্রিয়নাথ রায়। চাকরি দেয়ার শর্তে একেকজনের সঙ্গে তিনি চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয়নাথ। নিজের এলাকায় তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার আছে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতা আবেদ আলী ধরা পড়েছেন। ধরা পড়েছে কয়েক দোসর। তাদের অন্যতম একজন প্রিয়নাথ রায়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আবেদ আলী বলেছেন, প্রিয়নাথ রায় চাকরিপ্রার্থীদের তার কাছে পৌঁছে দিতেন।
চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়, অগ্রিম নেয়া হতো ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। হতো সেই বিপুল অর্থের ভাগবাটোয়ারা। আর এসব করতেন প্রিয়নাথ রায়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১১ নং – মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের হিন্দু পাড়া গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ রায়। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তিনি। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময় হারান বাবাকে। এইচএসসির পরে বন বিভাগে চাকরি নেন তিনি। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন।
এরপর তিনি জড়িয়ে পড়েন চাকুরি প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে। চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ। জড়িয়েছেন মামলায়ও। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি পড়শিরা। স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব বলেন, তারা সবাই বাইরে থাকে। এখানে ওর মা ছাড়া কেউ থাকে না। শুধু শুনেছি চাকরি দেয়ার নামে সে টাকা নিতো। পুলিশও এসেছে অনেকবার। কিন্তু সে অনেকদিন ধরে বাড়িতে আসেনি। এখন দেখছি এমন কর্মকাণ্ড। গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন তার মা। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়িতে। অপকর্মে ছেলের জড়িয়ে পড়ায় তার মা দায়ী করছেন পুত্রবধূকে। তবে দোষী হলেও ছেলের মুক্তি চান তিনি। প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বউয়ের পরামর্শে সে চলে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, চাকুরি দেয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় রয়েছে প্রিয়নাথের নামে একাধিক মামলা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সে বাড়িতে আসে না। সম্প্রতি গত ৮ জুলাই সোমবার সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির ২ জন উপ-পরিচালক, ১ জন সহকারী পরিচালক সহ ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন সিআইডি পুলিশ। তাদের অন্যতম প্রিয়নাথ রায়।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
০১৭১৭৫৯০৪৪৪

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর