শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে ১ গ্রামে ১৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন ! মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৯ বার পঠিত হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে ১ গ্রামে ১৫ জোড়া যমজ ভাই-বোন !
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের গ্রাম দক্ষিণ । সবুজ-শ্যামল এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি পেশার সঙ্গে জড়িত৷ এ গ্রামের একই পরিবারে রয়েছে ৪ জোড়া যমজ সন্তান। আর তাদের আশেপাশে রয়েছে আরও পনেরো জোড়ার বেশি যমজ ভাই-বোন৷ যমজ ভাই-বোনদের মাঝে কিছু বিষয়ে মিল-অমিল থাকলেও বন্ধন বেশ দৃঢ়৷ যমজ সন্তান নিয়ে অনেকে কটু মন্তব্য করলেও খুশি তাদের পরিবার৷ একসঙ্গে অনেক গুলো যমজ সন্তান দেখতে ভিড় জমান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমজ ভাই-বোনের এক অন্যরকম ভালো লাগার দৃশ্য। মলিন আর মনহরি যমজ দুই ভাই। তারা যমজ হিসেবে সবার চেয়ে বয়সে বড়৷ পরিবারের কাজ নিয়ে নানা ব্যস্ততায় সময় কাটে তাদের, তবে বয়স বাড়লেও মিল কমেনি। একসঙ্গে হাট-বাজার যাওয়া আর একই পোশাক পরিধান করে কৃষি কাজও করেন তারা৷ তাদের সঙ্গেই বেড়ে উঠছে আরো ৩ জোড়া যমজ সন্তান। সম্পর্কে তারা তাদের ভাই-ভাতিজা। ছোট সেই যমজেরা একসঙ্গে বেড়ে উঠছে শৈশবের সেই দূরন্তপনায়৷ পাপ্পু-প্রাপ্পু, খুশি-বন্ধন আর নিবিড়-নিলয়। সারাদিন পুরো বাড়ি যেন তারা মাতিয়ে রাখেন৷ একসঙ্গে খেলাধুলা করা,পড়াশোনা করা আর সাজগোজে সময় পার হয়ে যায় তাদের৷
এরা একজন যেন আরেকজনের প্রতিচ্ছবি। কখনো কখনো তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চলাফেরা একবারে হুবহু মিলে যায়। আবার এর বিপরীতও দেখা যায়। বাড়ি, স্কুল, গ্রাম সবখানেই একই চেহারার জন্য নানানরকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সময় কাটে সবার। তবে এতে সবার প্রতিক্রিয়া বেশ মজাদার। যমজ হবার দরুণ তারা সবার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও প্রিয় হয়ে ওঠেছে। এদের মত এ গ্রামে রয়েছে ইতি-বিথী, তৃণা-তৃষা সহ আরও ১৫ জোড়া যমজ ভাই বোন। তারা অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা ও কর্মরত রয়েছেন। যমজ ভাই-বোন ঘিরে গ্রামটির নাম মজার ছলে অনেকে যমজপাড়া বলেও অভিহিত করছেন৷
যমজ ভাই-বোনদের দেখতে আসা বিশিষ্ট কলামিস্ট নাজমুল হোসেন বলেন, একসঙ্গে একই পরিবারে চার জোড়া যমজ ভাই-বোন দেখে আলাদা রকম ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করে৷ একই রকম দেখতে, পোশাকেও তাদের মিল দেখে বেশ ভালো লাগছে।
বয়স বাড়লেও কমেনি মলিন আর মনহরি দুই মিল। বড় ভাই মলিন বলেন, ছোটবেলা থেকে আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে থাকি। আমাদের তেমন কোন ধরনের ঝামেলাও হয়নি। তবে অনেক মজার স্মৃতি আছে৷ একজন দোকানে বাকি করলে আরেকজনকে বলতো। ঝামেলা হলেও এটা খুব ভালো লাগতো৷
পাপ্পু ও প্রাপ্পুর মা বিদিশা রাণী বলেন, তাদের মাঝে মিল যেমন বেশি আবার ঝগড়াও বেশি। একসঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করে। খেলাধুলা, খাওয়া দাওয়া সবই একসঙ্গে করে। এটি বেশ ভালো লাগে। যমজেরা আমাদের সংসারে আশীর্বাদ। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার রায় বলেন, একই গ্রামে ১৫ জোড়া যমজ বিষয়টি ইউনিয়ন ও জেলাজুড়ে কৌতুহল সৃষ্টি করেছে। আমরা তাদের পাশে ছিলাম। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকব।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা
০১৭১৭৫৯০৪৪৪

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর