প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি ২৬ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬৬ ব্যক্তিকে সেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও ব্যাংকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। ২০২৪-’২৫ অর্থবছরে এ কর্মসূচি খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ১০ হাজার ৫৫৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২ জানুয়ারি ‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর দেশের দারিদ্র্য, প্রবীণ ব্যক্তি, সুবিধাবঞ্চিত শিশু, কিশোর-কিশোরী, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারী, গুরুতর অসুস্থ রোগী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ অসহায় মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর সীমিত জনবল ও সম্পদ নিয়ে মোট ৫৪টি জনহিতকর কর্মসূচি দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে, যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবে আহত ছাত্র-জনতাসহ প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসাসেবা ও সহায়তা পাচ্ছে।
‘জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে নেওয়া সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।