সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয় কল্পনাকে : পুলিশ

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৭ বার পঠিত হয়েছে
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার শিশু কল্পনা খাতুন হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি নূর জামাল। ছবি : Max tv bd

পাবনার চাটমোহরের শিশু কল্পনা খাতুন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যা জড়িত আসামি নূর জামাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি স্বীকার করেন, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলায় পরনের পায়জামা পেঁচিয়ে হত্যা করার পর কল্পনার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ পাবনার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রেজিনূর রহমান।

আসামি নূর জামাল চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চর মথুরাপুর গ্রামের আনিসুর রহমান মল্লিকের ছেলে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার কল্পনা খাতুন চাটমোহরের গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরমথুরাপুর ওয়াপদা বাঁধ এলাকার আলাল হোসেনের মেয়ে এবং চরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

জানা গেছে, শিশু কল্পনা খাতুন গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মথুরাপুর সেতু এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুনাইগাছা ইউপির পৈলানপুর গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর লিচু বাগানের মধ্যে লাশ পাওয়া যায়। পরদিন কল্পনার মা চাটমোহর থানায় হত্যা মামলা করেন।

আরও জানা গেছে, পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানের নির্দেশনায় আসামিদের ধরতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নূর জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে গলায় ফাঁস দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত কল্পনার পায়জামা, জামা, সোয়েটার ও একজোড়া বার্মিজ স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজিনূর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নুর জামাল অপরাধ স্বীকার করে জানান, ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দহপাড়া খানকা শরিফে ইসলামি জালসা ছিল। সেখান থেকে ৫০ টাকার গাঁজা কিনে সেবনের পর বাড়ির দিকে রওনা হন। পথে শিশু কল্পনা খাতুনকে বসে থাকতে দেখে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে শিশুটির প্রতিবেশী চাচা নুর জামাল।

তিনি আরও বলেন, আসামি বাড়ির রাস্তায় না গিয়ে বিকৃত যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে কল্পনাকে মোহাম্মাদ আলীর লিচু বাগানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে শিশুটি চিৎকার করলে লোকজন জেনে যাবে ভয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য পরনের পায়জামা খুলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর