বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমরা তারেক রহমানের অপেক্ষায় আছি। তিনি শিগগিরই দেশে আসবেন।’
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, লন্ডনের বৈঠক নিয়ে যে দু-একজন নেতাকর্মী প্রশ্ন তুলেছেন, তা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রয়োজনীয়। তার মতে, ‘বিদেশে কেন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হলো’—এই প্রশ্ন তোলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ বিএনপিসহ সমমনা সব দল মিলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছে, কারাবরণ করেছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে। লন্ডনের বৈঠক সেই ত্যাগের ধারাবাহিকতা ও দেশের মানুষকে মুক্ত করার প্রয়াস।
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দলটির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। রক্ষীবাহিনী দিয়ে মানুষকে দমন, দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ এবং দুঃশাসনের ইতিহাস আওয়ামী লীগের। গত ১৭ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং লুটপাট, বিরোধী মত দমন ও স্বৈরশাসনের মাত্রা আরও বেড়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। ওনার নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে হাসিনাকে পালিয়ে যাবার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছি। শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। কিন্তু সে গণশত্রু ছিল।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ২০১৪, ২০১৮-তে ভোট দিতে পারেননি, রাতের অন্ধকারে ভোট হয়েছে। ২০২৪ এ আমাদের সবাইকে মামলা দিয়ে গণগ্রেপ্তার করে তারা ভোট করেছে। নতুন প্রজন্ম ভোটার হতে পারেনি। মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেনি। আমরা লজ্জিত ছিলাম। ৫ আগস্টের পর আমাদের সবকিছু গোছানোর সুযোগ ও ভোট দেওয়ার মতো একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আমরা আজ দলের ভোট করছি, আগামী দিনে দেশের ভোট করব। এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
এদিন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনপূর্ব সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক গোলাম সারওয়ার, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমাম সোহেল প্রমুখ।