রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন

থা/নায় রক্ষি/ত বা/ক্স ভেঙে বের করা হয় এইচ/এস/সির প্রশ্ন/পত্র..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ১৯ বার পঠিত হয়েছে
ধামইরহাট থানা হেফাজতে থাকা ট্রাংক ভেঙে বের করা হয় প্রশ্ন। ছবি : Max tv bd

নওগাঁর ধামইরহাট থানায় রক্ষিত একটি বাক্সের তালা খুলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (এইচএসসি) প্রশ্নপত্র বের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে তা জানাজানি হয়।

এদিকে থানা হেফাজতে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রাখার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই ছবি থেকে দেখা যায়, ধামইরহাট থানা হেফাজতে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র রাখা হয়েছে একটি সিলগালা করা ট্রাংকের মধ্যে। যার দুটি তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে রাখা রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয়পত্রের একটি সেটের কয়েকটি ছেঁড়া ও কয়েকটি ভালো অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মালেক গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, গত ২৪ এপ্রিল রাতে উপজেলার বড়থা বাজারে দুর্বৃত্তের হামলায় উজ্জল হোসেন নামে একজন ছাগল ব্যবসায়ী নিহত হন। এ মামলার আসামি বংশিবাটি এলাকার সাগর হোসেনকে আটক করে মঙ্গলবার রাতে থানায় আনা হয়। পরে তাকে থানা হেফাজতে রাখলে হাতে হাতকড়া থাকাকালীন সময়ে সে ট্রাংকে থাকা প্রশ্নপত্র গুলো বের করে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, আমি বৃহস্পতিবার ঢাকায় ছিলাম। আমার পরিবর্তে শহরের কে.ডি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিটিংয়ে ছিলেন। সেখানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সার্কেলসহ আমাকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে জেলা প্রশাসক স্যারকে তদন্ত প্রতিবেন জমা দেওয়া হবে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিয়া আফরিন মোবাইল ফোনে Max tv bd কে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্তকাজ শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেন জমা দেওয়ার যদিও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেন জমা দেওয়া যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, থানা হেফাজতে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার লকার বাক্সের ভেতর থেকে প্রশ্নপত্র চুরির কথা জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রের বাক্সের তোলা কোনোভাবেই খোলা থাকার কথা নয়। এটা তো একটা অঘটন ঘটেছে। এ ছাড়া বাক্স থেকে প্রকৃত পক্ষে কোনো প্রশ্নপত্র চুরি হয়েছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র চুরি বা ফাঁসের ঘটনার যে বা যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যে প্রশ্নপত্র চুরি বা ফাঁস হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তা ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের। বিষয়টি রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের প্রধানকে জানানো হয়েছে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর