শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন

বিটি/আর/সির লাই/সেন্স সং/স্কার খসড়ায় অপা/রেটরদের সুবিধা কমেছে : এম/টব..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
  • ১৭ বার পঠিত হয়েছে
অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব)। লোগো

বিটিআরসির লাইসেন্স সংস্কার নীতিমালার খসড়ায় মোবাইল অপারেটরদের কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। এ খসড়া নীতিমালায় মোবাইল অপারেটরগুলোর কাজের পরিসরকে আরও সীমিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)।

বুধবার (০৪ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমনটা জানায় সংগঠনটি। এ সময় বাংলাদেশের মানুষের জন্য বাস্তবসম্মত ও কার্যকর নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়নে এমটব সরকার ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে একযোগে কাজ করতে প্রস্তুত বলেও জানায়।

এমটবের বিবৃতিতে বলা হয়, সীমাবদ্ধ ব্যবসায়িক কাঠামোর ফলে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে উঠেছে। ২০০৭ সালের ইন্টারন্যাশনাল লং ডিসট্যান্স টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস পলিসির (আইএলডিটিএস) মতো অপ্রচলিত পুরোনো কিছু নীতিমালার কারণে নিয়ন্ত্রক ও অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এ খাতের সম্ভাবনা নিশ্চিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমটব জানায়, আইএলডিটিএস নীতিমালা টেলিযোগাযোগ খাতকে বিভক্ত করেছে এবং এর ফলে অনেক মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান (আইজিডব্লিউ, আইআইজি, আইসিএক্স, এনটিটিএন ইত্যাদি) তৈরি হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিতে তেমন কোন অবদান রাখছে না; উপরন্তু, তাদের কারণে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উদ্ভাবন ব্যাহত হয়েছে।এ সময় সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাকে এমটব সমর্থন করে জানিয়ে বলে, যদিও, প্রস্তাবিত খসড়ায় দীর্ঘমেয়াদি কিছু সমস্যার সমাধান হয়নি, তবুও এ উদ্যোগ টেলিযোগাযোগ খাতকে আরও কার্যকর করে তুলতে ভূমিকা রাখবে। সংগঠনটি জানায়, বিশ্বজুড়ে মোবাইল অপারেটরদের পুরো অবকাঠামো পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়, যাতে তারা কম খরচে উন্নতমানের সেবা দিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করায় খাতটির বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

তবে সরকারের এই সংস্কারের যুক্তিসম্মত বাস্তবায়ন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ব্যবস্থাপনায় গতি আনবে বলে মনে করে এমটব। সংগঠনটি জানায়, এতে গ্রাহকদের খরচ হ্রাস করবে, শহর ও গ্রামে সেবার মান বৃদ্ধি করবে এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠনটি জানায়, বর্তমান সংস্কার প্রস্তাবই শেষ সমাধান না হলেও এটি ইতিবাচক সূচনা।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর