মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

ফাঁস দি/লেন স্ত্রী, শ্বশুর/বাড়িতে জানি/য়েই পালালেন স্বা/মী..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ২৭ বার পঠিত হয়েছে
নিহত গৃহবধূর মরদেহের পাশে পুলিশ সদস্য। ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় লাকি আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।

সোমবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ১১টায় ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় ফজলু মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লাকি আক্তার (২৬) পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার শ্বানেস্বর গ্রামের সাত্তার হাওলাদারের মেয়ে ও কসাই শিপনের স্ত্রী।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লা বাজারের কসাই শিপনকে (৪০) ভালোবেসে বিয়ে করেন লাকি আক্তার। তাদের সংসারে ১০ বছর বয়সের এক ছেলে ও ৬ বছর বয়সের এক মেয়ে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে তারা ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার রাতে শিপন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে ফোন করে জানান, ‘লাকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন’।

এ খবর পেয়ে লাকির বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গিয়ে দেখেন ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগানো। পরে দরজার তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন লাকির নিথর দেহ পরে আছে। তার মুখে ও গলায় আঘাতের দাগ রয়েছে। চাদর দিয়ে শরীরের অর্ধেক ঢাকা ছিল। এ অবস্থায় লাকিকে দ্রুত খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

নিহতের ভাগিনা ইমাম হোসেন বলেন, স্ত্রীকে হত্যা করে কসাই শিপন আত্মহত্যার কথা প্রচার করেছে। পরে তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এছাড়া নিহত লাকি আক্তারের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই হত্যার বিচার চাই আমরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসিনুজ্জামান Max tv bdকে বলেন, এটা হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তা এখনো নিশ্চিত নই। নিহতের গলায় ফাঁস দেওয়ার দাগ রয়েছে। এছাড়া শরীরের চর থাপ্পরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এগুলো মৃত্যুর কারণ হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী তার দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ফলে এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর