রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতিতে কানাডীয় দৃষ্টিভঙ্গি একীভূতকরণ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪ বার পঠিত হয়েছে
সিলেটে বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতিতে কানাডীয় দৃষ্টিভঙ্গি একীভূতকরণ : এমসিই ত্রিভুজ মডেলের সম্ভাবনা উন্মোচন প্রতিবাদ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত। সৌজন্য ছবি

‘বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতিতে কানাডীয় দৃষ্টিভঙ্গি একীভূতকরণ : এমসিই ত্রিভুজ মডেলের সম্ভাবনা উন্মোচন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে এমসিই (মোটিভেশন, কমিউনিকেশন এবং এক্সপ্লোরেশন) মডেলের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সিলেটের ব্রিটানিয়া হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আলাইভএডুকেশন (AlivEducation) নামে কানাডার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশের শিক্ষার সংস্কার কার্যক্রমে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা নিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনে মূল বক্তব্য প্রদান করেন আলাইভএডুকেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. মনজুর। তিনি এমসিই ত্রিভুজ মডেলটি উপস্থাপন করেন। তিনি তার বক্তব্যে মোটিভেশন, যা ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা চালিত; কমিউনিকেশন, যা আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের ওপর জোর দেয় এবং এক্সপ্লোরেশন, যা কৌতূহল এবং সমালোচনামূলক চিন্তাধারাকে উৎসাহিত করে- এই তিনটি উপাদান কীভাবে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতে ভূমিকা রাখে তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রফেসর নাজিয়া চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. জহিরুল হক। সম্মেলনে একত্রিত হয়েছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, শিক্ষার্থীরা।

অতিথিদের মধ্যে ছিলেন- প্রফেসর ড. জহিরুল হক (মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য), প্রফেসর ড. আশরাফুল আলম (সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য), প্রফেসর ড. মুশতাক আহমেদ (শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ (বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রো-উপাচার্য) বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ বদরুজ্জামান চৌধুরী, আসাদুজ্জামান সায়েম, ইউকেবিইটি-এর নির্বাহী পরিচালক, প্রফেসর ড. মনস কান্তি বিশ্বাস, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ এবং আরও অনেকে। ড. মনজুর তার প্রবন্ধে এমসিই মডেলকে ড্যানিয়েল পিঙ্কের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে সংযুক্ত করেন, যা একবিংশ শতাব্দীর পরিবর্তনশীল শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিল্পক্ষেত্রে সফল হতে অপরিহার্য।

প্যানেলের সদস্যরা মডেল সম্পর্কে তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। বিশেষত, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এমসিই মডেলটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। সম্মেলন থেকে আরও কিছু সুপারিশ উঠে আসে, যেমন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো, পাঠ্যক্রমে মডেলটি অন্তর্ভুক্ত করা, এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের জন্য একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর