দূতাবাস, হাই কমিশন বা মিশনে হামলার ঘটনা ভারতে এবারই নতুন নয়। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলাটিসহ গত পাঁচ দশকে অন্তত তিন বার এমন ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
১৯৭৩ সালে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাই কমিশনে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায়। এই ঘটনার প্রেক্ষাপট ছিল বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি এবং উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংসতা, বর্বরতা, গণহত্যা, ধর্ষণ এবং ১৬ ডিসেম্বরের স্বাধীনতার পরে তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া তিক্ততার কারণে পাকিস্তানের মিশনকে ঘিরে নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ তুঙ্গে উঠে।
স্থানীয় জনতার নেতৃত্বে এই হামলা মূলত বিক্ষোভে রূপ নেয়। তারা ভবন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে, এতে জানালার কাচ ভাঙার ঘটনা ঘটে। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ভারত সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়, যা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে তলানিতে নামিয়ে দেয়। দুই বছর পরের সেই হামলা মূলত আগেকার বৈরিতার বহিঃপ্রকাশ ছিল।
এই ঘটনার পরপরই কেন্দ্রিয় সরকারের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দমনে ব্যবস্থা নেয়া হয় এবং পাকিস্তানি হাই কমিশনকে বিশেষ সুরক্ষার আওতায় আনা হয়। একই সঙ্গে পাকিস্তান এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানায়। তবে এই ধরনের হামলার ঘটনা দু’দেশের মধ্যকার দ্বন্দ্ব এবং বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
১৯৯১ সালে নয়াদিল্লিতে ইরাকের দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। তখনকার প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে কুয়েতে সশস্ত্র অভিযান চালায়। এর ফলে সারা বিশ্বে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। ভারতেও কিছু বিক্ষোভকারী উত্তেজিত হয়ে ওঠে। ভারতের একাধিক স্থানে ইরাকি কূটনৈতিক মিশনকে লক্ষ্য করে সেইসব হামলা পরিচালিত হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ জনতা ইরাকি দূতাবাসে হামলা চালিয়ে তা ক্ষতিগ্রস্ত করে। এসময় বাগদাদের কুয়েত দখল এবং সাদ্দামের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠে। কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে বিক্ষোভ উসকে দেয়।
এই হামলার ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং মিশনের অনিরাপত্তার ঝুঁকির প্রতি নতুন করে উগ্বেগের জন্ম দেয়।
এছাড়া, ২০২১ সালে নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি দূতাবাসের কাছাকাছি একটি বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই ঘটনা ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে সন্দেহ করা হয়। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক তদন্তের আওতায় আসে এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এতে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানা যায়।নয়াদিল্লিতে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের হাই কমিশন বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং সংঘাতের ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে দূতাবাসের ভেতরে হামলার চেষ্টা করে।
মিশনে হামলা কেন বর্বরোচিত: দূতাবাস বা মিশনে হামলার ফলে কূটনৈতিক নিয়ম-কানুন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় বলে এগুলোকে ‘বর্বরোচিত হামলা’ বলা হয়ে থাকে। সব ধরনের কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসের সুরক্ষা আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষত ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের মাধ্যমে স্বীকৃত। এ আইন অনুযায়ী, নিজ দেশের ভূখণ্ডে বা নিজস্ব ভূমিতে অবস্থিত দূতাবাস ও হাই কমিশনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। মিশনের ওপর হামলা স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি কূটনৈতিক সুরক্ষা এবং মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে ব্যর্থ হলে দূতাবাস কর্মী ও কূটনীতিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়ে যায়।
দূতাবাস সাধারণত বেসামরিক মানুষ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা এমন হামলাকে অসভ্য ও বর্বরোচিত আচরণ বলে প্রমাণ করে। এসব হামলার ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে।
এটি রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় করে এবং কখনো কখনো যুদ্ধের পরিস্থিতিকে উসকে দেয়।
বাংলাদেশ মিশনে হামলা: সোমবার (২ ডিসেম্বর) ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপির উগ্র সমর্থকরা হামলা চালায়। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হয়। ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের একটি উগ্রবাদী সংগঠনের সমর্থকরা এই হামলা চালান বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা নয়াদিল্লির কেন্দ্রিয় সরকার। তবে ঘটনাটি কূটনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করলে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি মন্ত্রণালয়ে আসেন। হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর দপ্তরে তাকে তলব করা হয়। এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক নয়াদিল্লি। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হবে। বিকেল ৪টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রণয় ভার্মা বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে পরবর্তী নিদের্শ না দেয়া পর্যন্ত আগরতলা উপ হাইকমিশনের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকার কারণ নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত। সোমবার রাতেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং নয়াদিল্লির কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকার এতে দুঃখপ্রকাশ করেছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
অহিংস নীতি থেকে কতটা দূরে ‘গেরুয়াদের ভারত’: অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অহিংস ও শান্তির নীতি মেনে বিশ্বমঞ্চে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীর আহ্বানে ভারতবর্ষের লাখো কোটি মানুষ জীবনবাজি রেখে লড়াই করেছেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ন্যায়ভিত্তিক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। বিশেষত ১৯১৫ থেকে ১৯৪৭ সালের মধ্যে গান্ধীর অহিংস আন্দোলন বা ‘সত্যাগ্রহ‘ আন্দোলন ছিল একটি বৈশ্বিক উদাহরণ, যা শুধুমাত্র ভারতবর্ষে নয়, বিশ্বজুড়ে সামাজিক ন্যায়প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মানবাধিকার আন্দোলনে প্রভাব ফেলেছিল।
গান্ধী ১৯১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতবর্ষে ফিরে আসার পর শুরু করেন তার অহিংস আন্দোলন, যা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে ভিন্ন এক ঐতিহাসিক সংগ্রামের ভিত রচনা করে। তবে সহিংসতা কিংবা হিংসাত্মক আচরণ কখনই তাদের আদর্শ ছিল না। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি আজও বিশ্বের বহু মানুষের কাছে শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু বর্তমানে ভারতের রাজনীতি, বিশেষত নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং এর সহযোগী সংগঠন গেরুয়া শিবিরের সহিংস কর্মকাণ্ডে গান্ধীর অহিংস নীতি থেকে সরে আসার চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রসঙ্গ আসলে দেখা যায়, এক সময় ভারতের যেসব নেতারা ধর্মের নামে সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, শক্ত অবস্থান নিতেন, তারাই এখন রাজনৈতিক এবং দলীয় স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মীয় বিভাজনকে উসকে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের মিশনে হামলার ঘটনায় এখনও নিশ্চুপ কারা: আগরতলায় বাংলাদেশের মিশনে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিন্দা বা প্রতিবাদ জানায়নি বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্রভাবশালী দেশ ও জোট। পাকিস্তান এই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো সরাসরি মন্তব্য না করলেও ঢাকা ও ইসলামাবাদ সম্পর্কোন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নজরে রয়েছে তাদের।
দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে ভারত বরাবরের মতোই প্রভাবশালী ও কর্তৃত্ববাদী শক্তি হিসেবে পরিচিত। তবে সম্প্রতি নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে নতুন মাত্রায় সম্পর্কোন্নয়নের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এটি এমন একটি সময়ে ঘটছে যখন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে।
ইসলামাবাদ যদি নতুন মিত্র ঢাকার কাছ থেকে এমন সংকেত পায় যে, বাংলাদেশের জাতীয় ইস্যু বা হুমকিতে তাদের সমর্থন প্রয়োজন তখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পক্ষে নিরব থাকার সুযোগ কমে যাবে। বিশেষ করে, আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারসাম্য নিজেদের পক্ষে আনতে পাকিস্তান হয়তো বাংলাদেশের পক্ষ নিতে আগ্রহী হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি জাতিসংঘ। ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক দপ্তর। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সরব থাকলেও এই ঘটনায় নীরব ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করা সার্ক জোটটি কোনো বিবৃতি দেয়নি। বাংলাদেশের নেতৃত্বে গঠিত জোটটি কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সার্কের নীরব থাকা আঞ্চলিক জোটটির ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এদিকে, মানবাধিকার, কূটনৈতিক সুরক্ষা নিয়ে সরব হলেও এই ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলোর নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
দায় এড়ানোর প্রশ্ন: জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যেকোন দেশের কূটনৈতিক মিশনে সর্বাত্মক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নেই দেশের সরকারের দায়িত্ব। এই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়া মোদি সরকারের জন্য কূটনৈতিকভাবে বিব্রতকর। বাংলাদেশ যথাযথ ব্যবস্থা নিলে, নয়াদিল্লিকে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপের মুখোমুখি হতে হবে। বিশেষ করে কূটনীতিক এবং দূতাবাদের নিরাপত্তার ব্যর্থতার কারণে।
পশ্চিমাদের নীরবতা ও দ্বিচারিতা: মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারীর অধিকার এবং গণতন্ত্র নিয়ে সবসময় সরব থাকা পশ্চিমা দেশগুলোর এই ঘটনায় নীরবতা দুঃখজনক এবং তাদের দ্বৈতনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত তাদের আধিপত্যবাদের প্রতি হুমকি বা চ্যালেঞ্জিং এমন দেশ যেমন চীন, রাশিয়া, ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু রাজ্য সরকার মোদির বিজেপির এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং বিমাতাসূলভ আচরনের ক্ষেত্রে তাদের এড়িয়ে চলার নীতি দ্বিচারিতার পরিচায়ক।
এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হবে। নিশ্চুপ থাকা সংস্থা ও দেশগুলো তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করলে এটি কূটনৈতিক অঙ্গনে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলে ধরবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জায়গায় কোনো পক্ষ যদি দায়িত্বহীন আচরণ করে, তা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সেই সঙ্গে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে সেখানে উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং অরাজনৈতিক অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।