সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙলে উত্তরাধিকার সূত্রে পারমাণবিক অস্ত্র পেয়েছিল ইউক্রেন। তবে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা আশ্বাসের বিনিময়ে বছর তিনেক পরই সেগুলো জমা দিয়ে দেয় কিয়েভ। মাস খানেক আগে খবর বের হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে ইউক্রেনকে এসব পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন। এ নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশার মধ্যেই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাফ জানিয়ে দিলেন ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। খবর রয়টার্সের।
রোববার এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যাক সুলিভান বলেন, আমরা এমন কিছু বিবেচনা করছি না। আমরা যা করছি তা হলো, ইউক্রেনকে প্রচুর প্রচলিত অস্ত্র সরবরাহ করা। যাতে তারা নিজেদের কার্যকরভাবে রক্ষা করতে পারে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। তবে তাদের পারমাণবিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদের শেষ দিকে ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন। কয়েকজন অজ্ঞাত পশ্চিমা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
তবে এমন খবরকে সরাসরি নাকচ দিলেন সুলিভান। তিনি বলেন, আমরা যা করছি তা হলো পারমাণবিক সক্ষমতা না দিয়েই ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রথাগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যাতে তারা কার্যকরভাবে আত্মরক্ষা করতে পারে ও যুদ্ধে রাশিয়ানদের পরাজিত করতে পারে।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়। তখন উত্তরাধিকার সূত্রে পারমাণবিক অস্ত্র পেয়েছিল ইউক্রেন। তবে এর তিন বছর পর রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা আশ্বাসে বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডাম চুক্তির আওতায় সেগুলো জমা দেয় কিয়েভ।