মাহমুদুন্নবী, পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক- কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। উপজেলার আমাইড় ইউনিয়নের চকনোদবাটি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ১১ জন হলেও শিক্ষক- কর্মচারী রয়েছে ১২ জন। এবতেদায়ী ( প্রাইমারী ) সেশনে কোন শিক্ষার্থীই পাওয়া যায়নি। বছরের বেশি ভাগ সময়ই ক্লাস হয়না, নেই কোন মাদ্রাসায় সাইনবোর্ড। গত রবিবার ২১ মে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইসমাঈল হোসেনের তথ্যে সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া যায়।
জানা যায়, চকনোদবাটি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৯ সালে। মাদ্রাসার এমপিওভূক্ত হয় ১৯৮১ সালে। এমপিওভূক্ত হয়ে সুনামের সাথে এলাকার শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছিল। বিগত দিনে শত শত শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা আগের মতো নেই। মাদ্রাসায় অব্যবস্থাপনায় বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী কমে দাঁড়িয়েছে ১১-১২ জনে আর শিক্ষক- কর্মচারী রয়েছে ১২ জন।
স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এবং অত্র মাদ্রাসার সাবেক সভাপতির সাথে সাথ লিয়াজু মেন্টেন করে চতুর্থ শেণ্রী কর্মচারী নিয়োগের টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টায় আছে।
ম্যানেজিং কমিটির ( এডহক ) কমিটির সভাপতি ও পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: রুমানা আফরোজ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
চকনোদবাটি সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাও: আব্দুল আজিজ এর কাছ তার প্রতিষ্ঠানের এমন অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি নিউজটি না করার জন্য অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে পত্নীতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম জিল্লুর রহমান কে তার মুঠোফোনে না পাওয়া গেলেও জেলা শিক্ষা অফিসার মো: লুৎফর রহমান বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। যদি এমন অবস্থা হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাহমুদুন্নবী
পত্নীতলা ( নওগাঁ ) প্রতিনিধি:
মোবাইল নাম্বার: ০১৫৮০-৭৬১৮৯৪.