শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন

জু/তায় বি/য়া/র ঢে/লে পান করে রাজ/নী/তিকে বি/দায় এম/পির..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
  • ১৩ বার পঠিত হয়েছে
জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করছেন এমপি। ছবি : সংগৃহীত

জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করে রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক রাজনীতিবিদ। পার্লামেন্টে বিদায়ী বক্তৃতার সময় তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এমপি কাইল ম্যাকগিন তার বিদায়ী বক্তৃতার সমাপ্তিতে এক অভিনব কাণ্ড ঘটিয়ে সংসদে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন। তিনি তার জুতো খুলে তাতে বিয়ার ঢেলে পান করেছেন, যা অস্ট্রেলিয়ায় ‘শুয়ি’ নামে পরিচিত একটি উৎসবমুখর ঐতিহ্য। গত ২১ মে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে এ ঘটনা ঘটেছে।

লেবার পার্টির সাংসদ কাইল ম্যাকগিন ২০১৭ সাল থেকে মাইনিং অ্যান্ড প্যাস্টোরাল অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ৫৬ মিনিটের বিদায়ী বক্তৃতার পর তিনি এ কাণ্ড ঘটান। এ সময় তিনি একটি বিয়ারের ক্যান খুলে তা জুতোয় ঢালেন এবং সেখান থেকে পান করেন। ম্যাকগিন বলেন, তিনি তার গোল্ডফিল্ডস এলাকার ভোটারদের কাছে এই ‘শুয়ি’র জন্য পরিচিত ছিলেন এবং এটি তার নিজস্ব উপায়ে উদযাপনের একটি পদ্ধতি।

স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, এই কাজের মাধ্যমে তিনি দেখাতে চেয়েছেন যে, সংসদে সাধারণ মানুষও কাজ করেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ভেবেছি কীভাবে এই বক্তৃতা শেষ করব। আমার গোল্ডফিল্ডসের ভোটাররা এটির প্রশংসা করবেন বলে আমি মনে করি।

তবে এই কাণ্ড সংসদে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। কিছু সংসদ সদস্য হেসে উঠলেও অনেকে এটিকে অপ্রত্যাশিত মনে করেন। লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যালানা ক্লোহেসি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বলেন এবং সংসদের ক্যামেরা নিয়ম অনুযায়ী দৃশ্যটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ম্যাকগিন নিজেকে ‘অপ্রত্যাশিত রাজনীতিবিদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তিনি তার বক্তৃতায় মেরিটাইম ইউনিয়ন অব অস্ট্রেলিয়ার প্রশংসা করেন এবং সরকারের কিছু নীতির সমালোচনা করেন। তিনি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও কথা বলেন, জানান যে তার ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি একটি গুরুতর প্যানিক অ্যাটাকের সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি সবাইকে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

এই ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ ম্যাকগিনের এই কাজকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রচেষ্টা হিসেবে প্রশংসা করলেও অনেকে এটিকে সংসদের জন্য অনুপযুক্ত বলে মনে করছেন। ম্যাকগিন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর