মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

প্রবা/সীর পাঠানো সো/না আ/ত্মসা/ৎ লাগেজ পা/র্টির..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত হয়েছে
ছবি : সংগৃহীত

দুবাই প্রবাসী মো. শামীম সানার ২০১ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার দেশে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সেগুলো আত্মসাৎ করেছে ‘আন্তর্জাতিক লাগেজ পার্টি’র ঢাকার একটি চক্র। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা আমিরুজ্জামান আমিরের (৪৮) বিরুদ্ধে ডিএমপির পল্লবী থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী।

তবে অভিযোগের তদন্তে যাওয়ার পর পুলিশকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্বর্ণালঙ্কার ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় প্রতারক আমির। কিন্তু সোনা ফেরত দেওয়া তো দূরের কথা, উল্টো বিভিন্ন মাধ্যমে পুলিশসহ ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে অপ্রপচার চালাচ্ছে প্রতারক চক্রটি। এ ঘটনায় পুলিশের আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও মিরপুর ডিভিশনের উপকমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী সানা।

অভিযোগপত্রে সানা উল্লেখ করেন, মো. আমিরুজ্জামান আমিরের জিম্মায় তিনি ২০১ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার দুবাই থেকে কিনে বাংলাদেশে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেন তিনি। ওই সোনার বাজারমূল্য ২৬ লাখ টাকা।

অভিযোগে সানা বলেন, আমির স্বর্ণালঙ্কারগুলো তার আত্মীয় মো. ইব্রাহীম খান রানা ও জহির আহম্মেদের মাধ্যমে গ্রহণ করেন, যার ভিডিও ফুটেজ ও অডিও প্রমাণ তার কাছে সংরক্ষিত আছে। তারা ২৮ মার্চ সোনা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। শুধু তাই নয়, পুলিশের কাছে তার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয় এবং হত্যার হুমকিও দেয় আমির। পরবর্তীতে ঘটনাটি নিয়ে তিনি পল্লবী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ আমিরের অফিসে তদন্তে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আমির মালামাল গ্রহণের কথা স্বীকার করে আপস-মীমাংসার কথা বললে পুলিশ ফিরে আসে। কিন্তু এরপর আমির পুলিশ ও তার বিরুদ্ধে অনলাইনে অপপ্রচার চালায়।

সানা বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি, আমির একজন ভূমিদস্যু ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে পল্লবীসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দেন এবং আন্তর্জাতিক লাগেজ চোরাচালান ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।

ভুক্তভোগী সানা বলেন, তারা আমাকে সোনা ফেরত তো দিচ্ছেই না, উল্টো আমাকেসহ পুলিশকে বিতর্কিত করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে আমার স্বর্ণালঙ্কার ফেরতের জন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।

পল্লবী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিবাদীর অফিসে তদন্তে যায়। বিবাদী সেসময় মীমাংসার আশ্বাস দিলে পুলিশ চলে আসে। কিন্তু পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশসহ ভুক্তভোগীর নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিনিয়রদের পরামর্শে মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাকছেদুর রহমান বলেন, শামীম সানা নামের এক প্রবাসী অভিযোগ দিয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নিতে পল্লবী থানায় অভিযোগটি পাঠিয়েছি।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর