কুমিল্লার লালমাইয়ে মাদকসেবন করে মা, স্ত্রী ও সন্তানদের নির্যাতন করায় সোহবার হোসেন নামে এক যুবককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার ভূলইন উত্তর ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়তুলা গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে সোহরাব হোসেনকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোহরাবের মা জুলেখা বেগম বলেন, আমি তার ১০ বছরের জেল চেয়েছি। আমার সন্তান যাকে আমি ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে রেখেছি, সে আমাকে প্রচুর মারধর করে। মাদকসেবনের জন্য টাকা চাইলে দিতে না পারলেই মারধর করত। কিছুদিন আগে টাকার জন্য আমার ছাগলগুলোর গায়েও আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল সে। ছেলের বউ অনেক ভালো। তাকেও প্রতিনিয়ত মারধর করে। আজকেও আমাকে অনেক মারধর করেছে। আল্লাহ যেন তাকে আর আমার মুখ না দেখায়। অভিশপ্ত জীবনে আমিও বাঁচতে চাই না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন দরে সোহরাব ছেলেটা তার পরিবারের ওপর নির্যাতন করে আসছে। মাদকসেবন ছাড়া যেন তার কোনো কাজই নেই। সমাজে মাদকসেবনকারী ও মাদককারবারিদের প্রতিহত করতে আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। আজকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল দিয়েছে। এতে সমাজের সবাই খুশি।
লালমাই থানার ওসি শাহ আলম বলেন, সোহরাব হোসেন মাদকসেবন করে মা ও বাবাকে সবসময় মারধর করত। বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনওকে জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তের কাছে মাদক পাই। পরে তাকে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খীসা বলেন, মাদকসেবনের সংবাদ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়ায় সোহরাব হোসেনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মাদক নির্মূলে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।