যুদ্ধের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্যে। আপাতত সব পক্ষ অস্ত্র তুলে রাখলেও যে কোনো সময় বারুদের ঘর্ষণে আবারও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে যুদ্ধ মানে প্রাণহানি আর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি। এজন্য কম খরচে শত্রুর মোকাবিলায় নানা কৌশল নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এতে প্রাণহানি যেমন কমবে তেমন হবে সাশ্রয়ীও।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইরান নতুন এক অস্ত্র নিয়ে হাজির হয়েছে। সেই অস্ত্রেই বদলে যেতে পারে প্রচলিত যুদ্ধের ধরন। ইরানের রাষ্ট্রয়ত্ত বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানিয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম পিনপয়েন্ট লেজার বম্ব সিস্টেম প্রকাশ্যে এনেছে।
ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে চলা স্থল বাহিনীর চলমান মহড়ার সময় নিজেদের নতুন এই অস্ত্র প্রদর্শন করেছে দেশটি। এই সিস্টেম নিখুঁতভাবে টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম। আর ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এমনকি এই অস্ত্র যে কোনো আবহাওয়া এবং ভৌগোলিক অবস্থানের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী।
রাশিয়াও এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে পিছিয়ে নেই। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া স্থলে মোতায়েনযোগ্য লেজার অস্ত্র বানানোর চেষ্টা করছে। এই অস্ত্র একবার সফল হলে শত্রুদের স্যাটেলাইটকে অন্ধ করে দেওয়া যাবে।
তারপরও লেজার প্রযুক্তির সামরিক দিক আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। কেননা মিসাইল বা প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে শত্রুপক্ষে হামলা ঠেকাতে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সেখানে লেজার অস্ত্র দিয়ে আত্মরক্ষা বা হামলায় খরচ হয়েছে মাত্র কয়েক ডলার।