চশমা মানুষের চোখের রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি চোখের সংবেদনশীল অংশকে যে কোনো ধরনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করে। চোখের সুরক্ষায় বা অসুস্থতায় চশমা বেশ দরকারি পণ্য। আগে দোকান থেকে এক হাজার টাকার একটি চশমার ফ্রেম কিনলে ৫০ টাকা ভ্যাট দিতে হতো। কিন্তু এখন ভ্যাট দিতে হবে ১৫০ টাকা। তার মানে খরচ বাড়বে ১০০ টাকা।
রাজস্ব বাড়াতে চশমার ওপরও নজর পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) কর্মকর্তাদের। তারা চশমার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট তিন গুণ করে দিয়েছেন। তাই নতুন করে চশমা কিনতে গেলে গুনতে হবে বাড়তি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
এর আগে ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশ দিয়েই শুল্ক-কর বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেমের চশমার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়। এতে দেখা যায়, আগে প্লাস্টিকের চশমায় ৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। এখন সেটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। একইভাবে মেটালের ফ্রেমের চশমায় ভ্যাট ৫ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। রিডিং গ্লাসের চাশমার প্লাস্টিক ও মেটাল- উভয় ধরনের ফ্রেমেও ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে এনবিআর।