সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

ঢাকার সব রাস্তাকে কমপক্ষে বিশ ফুট প্রশস্ত করার দাবি

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৫ বার পঠিত হয়েছে
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ড্যাপ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমি মালিক’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি : Max tv bd

বিগত সরকারের তৈরি করা ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে ঢাকার ক্ষতিগ্রস্ত একদল ভূমি মালিক। তারা বলেছেন, ড্যাপ সংশোধন না করলে আগের নির্মাণ করা ১০তলা বা তার উপরে করা ভবন ভেঙে সব ৫ তলা করতে হবে। কারণ একই পরিমাণ জমিতে আগে ১০ তলা হলে এখন ৫ তলার বেশি হবে এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ঢাকার সব রাস্তাকে কমপক্ষে বিশ ফুট প্রশস্ত করার দাবি জানান।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ড্যাপ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা শহরের ভূমি মালিক’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানানো হয়।

ওই প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ক পরিচয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ড. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ। তিনি বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার নামে বিগত সরকারের আমলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২ সালে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়। ঢাকার বহুবিধ সমস্যা পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র ভবন নির্মাণের উচ্চতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে ড্যাপ প্রণয়ন করায় নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ড্যাপে ঢাকা শহরের মাত্র ২০ শতাংশ পরিকল্পিত এরিয়ায় সুউচ্চ ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে অবশিষ্ট ৮০ শতাংশকে অপরিকল্পিত এরিয়ার ‘ট্যাগ’ দেওয়া হয়েছে। এভাবে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন হ্রাস করে দেওয়া হয়, যাতে ঢাকার প্রকৃত ভূমি মালিকরা কোনোভাবেই ভবন নির্মাণ করতে না পারে। এতে আমরা নগরবাসী নতুন করে কোনো ভবন বানাতে গেলে দেখতে পাচ্ছি একই জমিতে আগে যেখানে ১০ তলা ভবন হতো এবং যে আয়তন পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৫ তলা ভবন ও অর্ধেক আয়তন পাওয়া যাচ্ছে। এতে আমরা ব্যাপক ক্ষতি ও চরম বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছি।

এম এ সাজ্জাদ বলেন, যে জমিতে ১০ তলা ভবন হতো- সেখানে এখন ৫ তলা হবে; এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি জানিয়েছে ভূমি মালিকদের এই প্ল্যাটফর্ম। তাদের প্রধান দাবি, ঢাকা শহরের সব এলাকায় ২০০৮ সালের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া। এ ছাড়া ওই বিধিমালা অনুযায়ী, জমির সামনের রাস্তার প্রশস্ততা হিসেবে যত তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া যায় তা দেওয়া; ঢাকার সব রাস্তা কমপক্ষে ২০ ফুট প্রশস্ত করা; জলাশয়, খাল-বিল, নদীনালা ভরাট বন্ধ করা; ধানি জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া বন্ধ করা; নির্মাণ অনুমোদন সহজ করা এবং রাজউকের হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর