গ্রাহকের প্রায় ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় এজে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের খাতুনগঞ্জ শাখার বরখাস্ত ম্যানেজার মনির হোসেনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, বরখাস্ত মনির হোসেনকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শুনানি শেষে মনির হোসেনের জামিন না দিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে আসামি মনির হোসেন। গ্রাহকের টাকা জমা না দিয়ে মনির হোসেন নিজেই খরচ করেছেন। টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন। এমনকি হুমকিও দেন। ফলে বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে এজে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড।
মামলায় একমাত্র আসামি মো. মনির হোসেন (৩৩), পিতা-আব্দুল মান্নান, মাতা-হোসনেয়ারা বেগম, স্থায়ী- ফতেহপুর, ডাকঘর-জমিদার, হাট-৩৮২৫, থানা-সেনবাগ, জেলা-নোয়াখালী, কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা-ম্যানেজার, এজেআর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লি., খাতুনগঞ্জ শাখা, কোরবানীগঞ্জ রোড, থানা-কোতোয়ালি, জেলা- চট্টগ্রাম।
মনির হোসেন এজে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের খাতুনগঞ্জ শাখার ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাকে এজে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মো. মনির হোসেন এজে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের খাতুনগঞ্জ শাখায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে সুকৌশলে গ্রাহকের প্রায় ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টে উঠে এসেছে। আসামি বিভিন্ন সময়ে জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এজে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড থেকে প্রায় ছয় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।