শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বন্যা, নিহত ১২

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮৩ বার পঠিত হয়েছে
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে বন্যায় ১২ জন নিহত হয়েছেন।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল ও মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত তিন দিন ধরে পানি বাড়তে থাকায় হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি থাইল্যান্ডের দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রশমন বিভাগের বরাতে জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার কারণে প্রায় পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ২০০ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে সংখলা প্রদেশের চানা জেলা ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বন্যার শিকার হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বন্যার পানির প্রবাহে ডুবে যাওয়া ঘরবাড়ি থেকে লোকজনকে ট্রাকে তুলে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। অপর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইয়ালা প্রদেশের সাতেং নোক জেলায় ডুবে যাওয়া একটি বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধারকারীরা একটি শিশুকে সরিয়ে নিয়ে আসছেন।

অন্যদিকে উত্তর মালয়েশিয়ায় প্রায় এক লাখ ২২ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে আরও ভারি বৃষ্টি হতে পারে আর তাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নতুন করে হড়কা বান দেখা দিতে পারে। থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী উত্তর-পূর্ব রাজ্য কেলান্তানে বন্যার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। সেখান থেকে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি মোট সংখ্যার ৬৩ শতাংশ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।

বন্যায় প্লাবিত অঞ্চল কেলান্তানের পাসির পুতেহ শহরের একজন বাসিন্দা জামরাহ মজিদ বলেছেন, “পানি ইতোমধ্যে আমার বাড়ির করিডোরে পৌঁছেছে এবং ভেতরে আসা থেকে মাত্র দুই ইঞ্চি দূরে।” একই শহরের আরেক বাসিন্দা জানান, বন্যায় তিনি ও তার পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। মুহম্মদ জুলকারনাইনের এক বাসিন্দা বলেন, “আমার আশেপাশে কোনো যানবাহনের প্রবেশ বা বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।” এছাড়া মালয়েশিয়ার আরও আটটি রাজ্যেও বন্যা দেখা দিয়েছে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর