শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন

‘গন্ধের ধারণা শ্রেণি ও লিঙ্গ বৈষম্য, বর্ণবাদ সৃষ্টি করতে পারে’

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮৩ বার পঠিত হয়েছে
ড. অ্যালি লাউকস, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে জানান, তিনি তার ডক্টরেট সম্পন্ন করেছেন এবং ‘ভাইভা’ পরীক্ষায় কোনও সংশোধন ছাড়াই সফলভাবে উতরে গেছেন। যদিও ডক্টরেট অর্জনের খবর সাধারণত বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ না করলেও এই পোস্টটি ভাইরাল হয় মূলত থিসিসটির বিষয়বস্তুর কারণে।

ডক্টর অ্যালি লাউকস, যিনি দাবি করেন যে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন, তার থিসিসের বিষয়বস্তু ছিল অলফ্যাক্টরি এথিক্স: দ্য পলিটিক্স অব স্মেল ইন মডার্ন অ্যান্ড কন্টেম্পরারি প্রোজ’। বিষয়বস্তুটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র কৌতূহল ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, পোস্টটি ৩২ লাখ ভিউ এবং ২,০০০-র বেশি মন্তব্য পেয়েছে। খবর এনডিটিভির। 

ডক্টর লাউকস তার থিসিসের ছবি শেয়ার করে পোস্টে লেখেন, ‘আমি আমার ভাইভা পাস করেছি এবং এখন আমি অফিসিয়ালি পিএইচডান।’ তিনি তার গবেষণার সারাংশও শেয়ার করেন যাতে আগ্রহী ব্যক্তিরা তার কাজ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

থিসিসের সারাংশে লেখা ছিল, এই গবেষণায় সাহিত্য কীভাবে গন্ধের ভাষা ও কল্পনাকে আমাদের সামাজিক কাঠামো গঠনে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে নিবন্ধন করে, তা বিশ্লেষণ করতে পারে। এর পাশাপাশি, গবেষণাটি দেখানোর চেষ্টা করেছে কীভাবে গন্ধের ধারণা মানুষের মধ্যে শ্রেণি ও লিঙ্গ বৈষম্য, বর্ণবাদ সৃষ্টি করতে পারে এবং সেই সঙ্গে এটি কীভাবে এই বৈষম্য দূর করতেও সহায়তা করতে পারে।

গবেষণার আরও উল্লেখ করা হয়, গন্ধের মাধ্যমে লিঙ্গ, শ্রেণি, যৌনতা, বর্ণ এবং প্রজাতি সম্পর্কিত ক্ষমতার কাঠামো তৈরির নেপথ্যের যৌক্তিক বিষয়গুলোকে তুলে ধরাই এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।’ থিসিসের প্রথম অধ্যায়ে দেখা হয়েছে কীভাবে গন্ধ শ্রেণিগত বৈরিতা নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হতে পারে, বিশেষ করে যখন তা গৃহহীনতার মতো সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই বিষয়ে জর্জ অরওয়েলের সাহিত্যকর্ম ও অন্যান্য জনপ্রিয় মিডিয়ার উদাহরণ ব্যবহার করা হয়েছে।

ইন্টারনেটের প্রতিক্রিয়া: এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর হাজারো ব্যবহারকারী ডক্টর লাউকসের প্রোফাইলে মন্তব্য করেন এবং তার গবেষণাকে বাস্তব জীবনে অপ্রাসঙ্গিক বলে তীব্র সমালোচনা করেন। একজন লেখেন, ‘যারা এই একাডেমিক ভাষা বুঝতে পারেন না, তাদের জন্য বলছি: আসলে তিনি থিসিসে বলেছেন, যদি কারও গায়ের গন্ধ খারাপ লাগে, তাহলে সেটা বর্ণবাদ বা শ্রেণিবৈষম্যের অংশ!’

অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘এই থিসিস কীভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে? এটি কোনও বাস্তবিক গুরুত্ব বহন করে না এবং একমাত্র শিক্ষার্থীদের থেকে ঋণের অর্থ নেয়ার জন্য তাকে কাজে লাগানো হবে। আরেকজন তাচ্ছিল্য করে লেখেন, ‘ট্যাক্সের অর্থ ভালো কাজে ব্যবহার হয়েছে। ঋণের বোঝা নিয়ে সুখী হওয়ার চেষ্টা করুন।’ তবে কিছু ব্যবহারকারী ডক্টর লাউকসের পক্ষে কথা বলেছেন।

একজন মন্তব্য করেন, ‘মানুষ তাকে অকারণে এত কঠিন কথা বলছে। কেউ কেউ শুধু বই নিয়ে পড়াশোনা করতে চান, এতে অপরাধের কী আছে? অন্য একজন বলেন, ‘এটা বেশ আকর্ষণীয় গবেষণা মনে হচ্ছে। তবে যারা বিরূপ মন্তব্য করছেন, তারা মূলত বর্ণবাদী, নারীবিদ্বেষী এবং এমন মানুষ যারা মনে করে শিক্ষা মানে শুধু দক্ষতাভিত্তিক ট্রেনিং।’

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর