ফায়ার সার্ভিসের সীমাবদ্ধতায়
মানুষ কত অসহায়….
মোঃজুবায়ের আলমঃবহুতল ভবনে ভয়ঙ্কর অগ্নিদুর্ঘটনার পর জানা গেল ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কাছে স্বল্প দামের জাম্পিং কুশন পর্যন্ত নেই। ৩০ সেকেন্ড থেকে ৫৫ সেকেন্ডের হাওয়া দিয়েই বিশাল আকৃতির সে কুশন তৈরি করা যায় এবং বহুতল ভবন থেকে সেই কুশনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে বিপদাপন্ন মানুষ জীবন বাঁচাতে পারেন। বেইলি রোডের আগুন লাগা ৯ তলা ভবনের পাশে এমন রেসকিউ জাম্পিং কুশনের ব্যবহার করা গেলে বহু মানুষকে জীবিত উদ্ধার সম্ভব হতো বলেও তখন প্রত্যক্ষদর্শীরা মন্তব্য করেন। তাছাড়া জাম্পিং কুশনগুলো একটার পর একটা সাজিয়ে তিন-চার তলা সমান উচু করেও মানুষকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়।
দেশের সকল দুর্যোগে জানমাল রক্ষাসহ বিপদাপন্ন মানুষকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালনকারী ফায়ার সার্ভিস বিভাগটির কাছে মাত্র ১১ তলা উচ্চতার মই রয়েছে। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকেই রাজধানীতে বিশ তলা বা ততোধিক তলা ভবন নির্মানের আধিক্যতা রয়েছে। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উদ্ধারকারী সংস্থার কেউ আরো উচ্চতার মই বা লিংকেজ মই পর্যন্ত নির্মানের উদ্যোগ কেন নেয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে।
তাছাড়া রশির মই দিয়ে বহু উচ্চতার এক ভবন থেকে অন্য ভবনে যাওয়ার এবং রশিতে হাতল লাগিয়ে তা ধরে অনেক উচ্চতা থেকে অনায়াসে নিচে নামার পদ্ধতি ব্যবহারেরও নজির নেই দেশে। এসব পদ্ধতি কেবলই ফায়ার সার্ভিসের নানা প্রশিক্ষণেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, তা উদ্ধার অভিযানের বাস্তবতায় ব্যবহার হতে দেখা যায় না।