এক সপ্তাহের বকেয়া বেতন ও রেশন পরিশোধের আশ্বাসে সিলেটের চা-বাগানগুলোতে আন্দোলনে থাকা শ্রমিকরা আগামী শুক্রবার থেকে কাজে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়্যারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে আপাতত এক সপ্তাহের বকেয়া বেতন ও রেশন পরিশোধ করার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি জানান, চা শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা বাংলাদেশ চা বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট টি কোম্পানিগুলো প্রদান করবে। অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে করা হবে।
এর আগে গত ৪ মে, সিলেটের বুরজান, ছড়াগাং ও কালাগুল চা বাগানের শ্রমিকেরা ১১ দফা দাবিতে আম্বরখানা-এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করেন। তাদের প্রধান দাবি ছিল ২০ সপ্তাহের বকেয়া রেশন ও বেতন পরিশোধ এবং বুরজান চা বাগানের মালিকের লিজ বাতিল। প্রশাসনের অনুরোধে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করলেও তিন দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন দাবি পূরণের জন্য।
চা শ্রমিক নেতা সোহাগ ছত্রী বলেন, সমাধান হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকল চা শ্রমিকদেরকে আপাতত এক সপ্তাহের বেতন দেয়া হবে। শুক্রবার থেকে চা বাগান খুলে দেওয়া হবে। যে পাতাটা তোলা হবে তা বিক্রি করে পরবর্তী বেতন দ্রুতই পরিশোধ করার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। সবাই মেনে নিয়েছেন এবং কর্মে ফিরবেন।
চা শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারের নিত্য প্রয়োজন মেটাতে টানা কয়েক মাস বেতন না পাওয়ায় তারা চরম সংকটে পড়েছিলেন। ফলে দাবি পূরণের আশ্বাস এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ Max tv bdকে বলেন, চা শ্রমিকদের এক সপ্তাহের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য মাসোহারা ভিত্তিক শ্রমিকদের এক মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। বাকি বকেয়া মজুরিটা পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যে টাকাটা লাগবে সেটি আমরা ক্যালকুলেট করেছি। যার মধ্যে টি বোর্ড থেকে অনুদান দিবে, আর আমাদের ডিসি অফিস থেকে কিছু টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে। পরে সেটি টি বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করে দেবে। এছাড়া বৃহস্পতিবার চা শ্রমিকদের ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।