রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

মঙ্গ/লবা/র ক/খন দে/শে পৌঁ/ছাবেন খা/লেদা জি/য়া..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ৪ মে, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত হয়েছে
বেগম খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকায় পৌঁছাবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি।

রোববার (৪ মে) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার খবরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। দলীয় প্রধানকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনগুলো। এ নিয়ে গত কয়েকদিনে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভাও করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় দলের ঢাকা মহানগর ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন—এমন নিশ্চয়তা আমরা পেয়েছি।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া বাংলাদেশ থেকে গত ৭ জানুয়ারি রওনা দিয়ে ৮ জানুয়ারি লন্ডন পৌঁছান। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডনের ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকার প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরসহ অঙ্গসংগঠনগুলোর এক যৌথসভা ডাকেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন উন্নত চিকিৎসা এবং পারিবারিক সুন্দর পরিবেশের কারণে প্রতিদিনই ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি আগের চেয়ে অনেক সুস্থবোধ করছেন। এজন্য তিনি এখন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এশিয়া মহাদেশের নারীনেত্রীদের মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য যে কয়েকজন সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের অন্যতম খালেদা জিয়া। তিনি কখনো ফ্যাসিবাদের কাছে মাথানত করেননি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। দীর্ঘ ৯ মাস তিনি দুই শিশুপুত্রসহ পাকিস্তানি সেনানিবাসে বন্দি ছিলেন। এ মহীয়সী নেত্রী দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে নির্যাতন করে অত্যন্ত অসুস্থ করে ফেলে। খালেদা জিয়ার অসুখের জন্য স্থানীয়ভাবে আমরা চিকিৎসা করিয়েছি, জন হপকিন্সের চিকিৎসকরাও এসেছিলেন। এরপর জুলাই অভ্যুত্থানের পর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। এ কথাগুলো বলার অর্থ হলো, গণতন্ত্রের প্রশ্নে ত্যাগ স্বীকার করা তার মতো নারীনেত্রী আমাদের চোখে খুব একটা পড়ে না।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর