কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জুলাই-আগস্টে পুলিশের গুলিতে আহতদের তালিকায় শাহাদাতের নাম নেই। তার পরিবার আহতদের তালিকায় ছেলের নাম লিপিবদ্ধ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করতে পারেননি।
পরিবারের দাবি, দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার ডাকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের জন্য ভৈরবে ছাত্র-জনতা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে।
আন্দোলন দমাতে তৎকালীন সরকারের পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে কিশোর শাহাদাতের মাথায়, কপালে ও শরীরের বিভিন্ন অংশ গুলিবিদ্ধ হয়। এতে গুরুতর আহত হলে তাকে ছাত্ররা প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তৎকালীন চিকিৎসকরা পুলিশের ভয়ে শাহাদাতের চিকিৎসা করেননি।
পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় ইউনাইটেড প্রাইভেট হাসপাতাল ও অর্থোপেডিক সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ২২টি গুলি বের করে। এরপরও তার শরীরে আরও কিছু গুলি থাকায় সেগুলোর কারণে শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শাহাদাতের বাবা একজন বাসের সহকারী হওয়ায় পুত্রের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। শাহাদাত পৌরশহরের পলতাকান্দা এলাকার কিরণ মিয়ার ছেলে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন জানান, সরকারিভাবে তালিকা করা হয়ে গেছে। প্রথমে তালিকা থেকে যারা বাদ পড়েছেন। তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হওয়ার জন্য পরবর্তী সময় বাড়ানো হয়েছিল। এখন যদি কেউ তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকে, তাহলে সরকার থেকে ফের তা তৈরির নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তখন শাহাদাতসহ অন্য কেউ যদি বাদ পড়ে থাকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা নতুন তালিকা করব।