শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

‘বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে’

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২২ বার পঠিত হয়েছে
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

বেক্সিমকোর নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা লোপাটের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িতদের আত্মসমর্পণ করে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে বিদেশে পলাতকদের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানের নামেই ১১টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকার ওপরে ঋণ নেওয়া হয়েছে। অস্তিত্ববিহীন ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে নেওয়া হয়েছে আরও ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ। সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে বেক্সিমকোর।’

মামলা ও তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া বেক্সিমকোর নামে ব্যাংকগুলো থেকে নেওয়া টাকা কোথায় গেছে, সেটাও আমরা জানি না। এর সঙ্গে ১৩টি ব্যাংক জড়িত। প্রত্যেকটি ব্যাংক, সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, যারা এই টাকা দেওয়ার পেছনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বুধবার আমার তরফ থেকে এ বিষয়ে ব্যর্থহীন ঘোষণা গিয়েছে। এটি আমাদের মিটিংয়ের কার্যবিবরণীতেও লেখা আছে।’

পলাতকদের হুঁশিয়ার করে ড. সাখাওয়াত বলেন, ‘এটা মনে করবেন না যে, বিদেশে চলে গিয়ে বেঁচে গেছেন। বিদেশে যারা গেছেন তারা হয় আসবেন, নয় সেখানেই আটকা পড়বেন। আমি জানি না কী হবে! আমি এরই মধ্যে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছি; দরকার হলে তদন্তের পর তাদের প্রত্যেকের পাসপোর্ট বাতিল করতে হবে।’

‘আমরা এভাবে কাউকে ছেড়ে দিতে পারি না। যারা এতগুলো শ্রমিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তারা তো শান-শওকতে এখানেও আছে, বিদেশেও আছে।’ বলেন তিনি।

২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে থাকেন বা বিদেশে, যারা বিদেশে আছেন আমি তাদের অনুরোধ করব, আপনারা দেশে এসে আত্মসমর্পণ করুন। আর যদি মনে করেন এভাবে চলে যাবে, আগামীতে কী ঘটবে, সেটা আল্লাহ জানেন। তাই বলছি আত্মসমর্পণ করেন, তদন্তের মুখোমুখি হন। যদি নির্দোষ হন, তো বিদেশেই থাকবেন!’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বিদেশে সিটিজেনশিপ (নাগরিকত্ব) কিনেছেন। কিন্তু বিদেশে সিটিজেন হলেও বাংলাদেশের আইনে সেটা প্রযোজ্য হবে বলে আমি মনে করি। তাই বিদেশে থাকবেন আর এখানে গন্ডগোলের মধ্যে ফেলবেন, সেটা আর হবে না।’

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর