আসন্ন মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যাতিক্রমী একটি উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তরুণরা৷ বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে ও উপজেলার মানুষকে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার তুলে দিতে ‘চমক বাজার’ নামে একটি ন্যায্যমূল্যর বাজার চালু করেছে তারা। যার কার্যক্রম চলবে ঈদুল ফিতরের আগের রাত পর্যন্ত।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৭ টন পণ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে তারা। পণ্যগুলো হলো আদা, রসুন, পেঁয়াজ, খেজুর, ছোলা ও খেসারির ডাল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাইন ধরে পণ্য ক্রয় করছে ক্রেতারা, যাদের মধ্যে নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষই বেশি।
আরেক ক্রেতা বিশারাবাড়ি গ্রামের গৃহিণী খোদেজা বেগম বলেন, বাজারের তুলনায় এ জায়গায় কম দামে পেয়েছি তাই রসুন নিলাম।
চমক বাজারের প্রধান উদ্যোক্তা তানভীর ইসলাম শাহীন জানান, যেখানে পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম দেশে রমজান আসলে ভোগ্যপণ্যের দাম কমে আসে সেখানে আমাদের দেশে চলে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। আজকে আমরা প্রথম দিনের মতো ৭ টন পণ্য আনলেও দুপুর ২টার দিকেই ৪ টন বিক্রি হয়ে গেছে। ব্যাবসায়ীরা যেই পণ্যে সিন্ডিকেট করবে আমরা সেই পণ্যই এ চমক বাজারে নিয়ে আসব।
আরেক উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান হৃদয় জানান, গোলাম জিলানী, সংবাদকর্মী আশ্রাফ উজ্জলসহ আমরা বেশ কয়েকজন মিলে পুরো রমাজান মাস যেন মানুষ ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারে সে ব্যবস্থা করছি ও আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আমরা তৈল, চালসহ আরও প্রয়োজনীয় পণ্য তুলব। এ ছাড়া আমরা খরচ বাদ দিয়ে মাত্র দুই থেকে তিন টাকা লাভে সব পণ্য বিক্রি করছি।
তরুণদের চমক বাজারে পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছামিউল ইসলাম জানান, তরুণদের এ উদ্যোগ আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ও এটি একটি ইনোভ্যাটিভ উদ্যোগ। যেহেতু সামনে রমজান মাস তাই তাদের এ কার্যক্রমে আশাকরছি সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। তারা যদি প্রশাসন কোন সাহায্য চায় অবশ্যই আমরা তাদের পাশে থাকব।