রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ন

কর্মহীন বুড়িমারীর ২৫ হাজার শ্রমিকের ভরসা ‘ধারদেনা’

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩০ বার পঠিত হয়েছে
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা। ছবি : Max tv bd

কর্মহীন দিন কাটাচ্ছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে ২৫ হাজার শ্রমিক। পাথরের দাম কমানোর দাবি না মানায় গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারত ও ভুটানের বোল্ডার স্টোন (বড় বড় পাথর) আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। এর ফলে পাথর লোড-আনলোডের পাশাপাশি ভাঙার কাজে কর্মরত শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির ৮০ শতাংশ দখল করে আছে এই পাথর-বাণিজ্য। আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন দেড় কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে পাথর আমদানির মতো বিপুল কর্মযজ্ঞ থেমে যাওয়া অনেকটা নিশ্চল দেখাচ্ছে বন্দরের কার্যক্রম।

বন্দরের পাথর শ্রমিক আনিসুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই বন্দরে প্রায় ৫০০ পাথর ভাঙার যন্ত্র আছে। প্রতি যন্ত্রে গড়ে ২০-৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন। প্রত্যেকে পান ৫০০ টাকা করে। আমদানি বন্ধ থাকায় মেশিন চলছে না। ফলে সবার দৈনিকের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে।

লোড-আনলোড শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, বন্দরে তার মতো শ্রমিকের সংখ্যা ১৫ হাজারের মতো। এই কাজ করে শ্রমিকরা দৈনিক ৬০০-৭০০ টাকা করে পান।

শ্রমিক মমিনুল রহমান বলেন, হঠাৎ কাজ বন্ধ হওয়ায় খুব কষ্টে দিন কাটছে। একদিন কাজ না করতে পারলে অন্যের কাছ থেকে ধার করতে হয়। এখন মহাজনের কাছ থেকে অগ্রিম মজুরি নিয়ে চলছি।

বন্দরের পাথর ব্যবসায়ী সহিদার ইসলামের চারটি পাথর ভাঙা মেশিন আছে। চারটি মেশিনে কাজ করেন ১০৫ জন শ্রমিক। আমদানি বন্ধ থাকায় তারাও বসে আছেন। অনেক শ্রমিক তার কাছ থেকে অগ্রিম মজুরি নিয়েছেন। আবার আমদানি না থাকায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঠিকাদার কিংবা অন্য পাথর ব্যবসায়ীদের পাথর সরবরাহ করতে পারছেন না তিনি।

বুড়িমারী স্থলবন্দর লোড-আনলোড লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম Max tv bdকে বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাথর আমদানি বন্ধ করেন ব্যবসায়ীরা।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর