নোয়াখালীর চাটখিলে চুরি করতে গিয়ে গাড়ি ও স্মার্টফোন রেখে পালিয়েছে চোরচক্রের সদস্যরা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে চোরচক্রের ৩ থেকে চারজন সদস্য মোহাম্মদপুর আনোয়ার আলি ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী তাজুল ইসলামের দোকানে চুরি করতে যায়। দোকানের সাঁটারের তালা কেটে সাঁটার খোলার শব্দ শুনে দোকানের পাশের মাদ্রাসায় অবস্থান করা তাজুলের ভাগিনা তার মামাকে মোবাইলে তাৎক্ষণিক বিষয়টি অবহিত করে। এরপর তাজুল ঘর থেকে বের হয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করে দোকানের দিকে যায়।
এ সময় চোরচক্রের দুজন সদস্য দৌড়ে পালিয়ে গেলেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করে তাজুল ইসলাম। ধস্তাধস্তি করে একপর্যায় আটক হওয়া চোরচক্রের সদস্য সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি রেখে তাজুলের হাত থেকে পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়ার পর সিএনজির ভেতর একটি স্মার্টফোন ও একটি বোল্ট কাটার পাওয়া যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে চোর চক্রের সদস্যরা দোকানের ক্যাশের তালা ভেঙে নগদ প্রায় এক লাখ টাকা ও দোকানে থাকা সিগারেটের কার্টন নিয়ে যায়।
শনিবার দুপুরে স্থানীয় চাটখিল থানা পুলিশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, স্মার্টফোন, বোল্ট কাটার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম Max tv bdকে বলেন, এক চোরকে আটকালেও আমি একা হওয়ায় তাকে ধরে রাখতে পারিনি। তারা গাড়ি, মোবাইল ও কাটার রেখে চলে যায়। তারা যে মোবাইলটি ফেলে গেছে, অন্য মোবাইল থেকে সেখানে ফোন দিয়ে আমাকে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে মিটমাট করে ফেলারও প্রস্তাব দিয়েছে। আমি আমার চুরি হওয়ার টাকা ফেরত চাই। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
চাটখিল থানার ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী Max tv bdকে বলেন, চোরচক্রের রেখে যাওয়া নম্বরপ্লেট বিহীন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।