সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

রণক্ষেত্র সিইপিজেড, হাসপাতালে আহত অনেকে..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৪ বার পঠিত হয়েছে
কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ছবি : Max tv bd

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে সিইপিজেড এলাকা। এতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিইপিজেডের জেএমএসএস ও মেরিনকো নামে দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আহতদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ১৮ শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে। এদের কারো মাথা ফাটা, কেউ শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগ শ্রমিক জেএমএস কোম্পানির।

সংঘর্ষের ঘটনা একতরফা ছিল বলে জানান আহতরা। তাদের ভাষ্য, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য দুই কারখানার শ্রমিকরা অনেক দিন ধরেই আন্দোলন করছিল। এর মধ্যে জেএমএস কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের দাবি মেনে নিলে শনিবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগ দেয়। এ সময় ম্যারিমো কোম্পানির একদল শ্রমিক জেএমএস কারখানায় ঢুকে ভাঙচুরসহ কর্মরত শ্রমিকদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক দিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। দুদিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়। শনিবার ফের কারখানাটি চালু হয়। অন্যদিকে সকালে মেরিনকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সে সময় তারা ঢিল ছুড়ে সংলগ্ন জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাচ ভাঙলে দুপক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়।

শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভের একপর্যায়ে জেএমএসএস কারখানায় ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগে শ্রমিকদের দুপক্ষ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা আহতদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মহিবুল (২৬), ফরিদা (৪০), ইলিয়াস (৩৪), বিদ্যুৎ (৩০), শিউলি (২৪), চঞ্চল (২৮) ও মনোয়ারা (৩৩)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তুহিন শুভ্র দাশ বলেন, সিইপিজেড থেকে আসা এ পর্যন্ত ৬১ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে হাত-পা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান Max tv bdকে বলেন, এটি বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নয়। দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।

ইপিজেড থানার ওসি আখতারুজ্জামান Max tv bdকে জানান, এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কারখানার শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ দুটি কারখানা ঘিরে রেখেছে। এই দুটি কারখানায় ৩ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হতে পারে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর