গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি স্বর্ণালংকারের কারখানা থেকে নগর পাল (৪৫) নামে এক কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নগর পালকে হত্যা করে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে রুদ্র পাল (২২)।
জানা গেছে, নগর পাল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করলেও পুলিশকে না জানিয়ে মরদেহটি পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কারখানা মালিক স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা। মরদেহ দাহের জন্য তাড়াহুড়াসহ তার আচরণে সন্দেহ হওয়ায় থানায় যোগাযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, স্বর্ণালংকার ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহার বাড়ি উপজেলার সাহেববাজার এলাকায়। তিনি মা কালী জুয়েলার্সের মালিক। বাড়ির পাশেই রয়েছে তার ছোট একটি কারখানা। সেখানে কারিগরের কাজ করতেন নগর পাল। তার সঙ্গে কর্মরত ছিলেন রুদ্রও। তবে রোববার তিনি ছুটিতে টাঙ্গাইলের কালিহাতির বেতজুরা গ্রামের বাড়িতে ছিলেন।
এ ব্যাপারে রুদ্র বলেন, রোববার দুপুরের পর নারায়ণ আমাকে ফোন করে জানান যে বাবা মারা গেছেন। তাৎক্ষণিক কারখানার উদ্দেশে রওনা দিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছে দেখি বাবার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল। তার পা দুটো মাটিতে লাগানো ছিল। ফাঁস টানানোর কথা বলা হলেও আশপাশে ছিল না কোনো চেয়ার বা টুল। এ সময় দোকান মালিকসহ আমরা তিনজন মরদেহটি নামাই।
তিনি বলেন, মরদেহে বুকসহ বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন পাওয়া যায়। দোকান মালিক নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়াতাড়ি মরদেহ বাড়িতে নিতে বলেন। তিনি গাড়িও ভাড়া করে দেন। সঙ্গে বাড়ি গিয়ে দ্রুত মরদেহটি পুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন নারায়ণ।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জুবায়ের গণমাধ্যমে বলেন, নিহতের পরিবার মামলা করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালিহাতি থানার এসআই মনসুর রহমান বলেন, নগর পালের মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।