শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

২২ কোটির ৫ গুপ্তধন খুঁজে নেয়ার চ্যালেঞ্জ, লুকানো আছে সড়কের পাশে

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮০ বার পঠিত হয়েছে
ধনকুবের জন কলিন্স-ব্ল্যাক যুক্তরাষ্ট্রে লুকিয়ে রেখেছেন ২০ লাখ ডলারের পাঁচটি গুপ্তধন।

ধনকুবের জন কলিন্স-ব্ল্যাক যুক্তরাষ্ট্রে লুকিয়ে রেখেছেন ২০ লাখ ডলারের পাঁচটি গুপ্তধন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ হয় ২২ কোটি টাকা। যারা গুপ্তধন খুঁজে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে অত্যন্ত রোমাঞ্চকর সংবাদ। সংবাদমাধ্যম ফক্স ১০-এর বরাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের মাধ্যমে ধনী হওয়া উদ্যোক্তা জন কলিন্স-ব্ল্যাক যুক্তরাষ্ট্রে এই বিপুল মূল্যমানের গুপ্তধন লুকিয়ে রেখেছেন। কৌতূহল এবং দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় (অ্যাডভেঞ্চার) আগ্রহ বাড়ানোর জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি নিয়েছেন এই ক্রিপ্টো মিলিয়নিয়ার।

এই গুপ্তধনের বাক্সে রয়েছে চমকপ্রদ অতিমূল্যবান জিনিসপত্র যেমন গোল্ড ডাবলুন, বিরল পোকেমন কার্ড, প্রায় ১ লাখ ডলারের মূল্যমানের বিটকয়েন এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন। এর মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড ও স্যাফায়ার ব্রুচ যা একসময় জ্যাকলিন ওনাসিসের ছিল।

পাঁচটি গুপ্তধনের অবস্থান জানার সূত্র রয়েছে জন কলিন্স-ব্ল্যাকের লেখা বই ‘দেয়ার’স ট্রেজার ইনসাইড’। যেখানে ধাঁধা ও মানচিত্রের মাধ্যমে এসব মহামূল্যবান সম্পদ খুঁজে পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

জন কলিন্স-ব্ল্যাক শৈশব থেকেই অ্যাডভেঞ্চার ও ফ্যান্টাসি গেম, যেমন ‘ডানজিউনস অ্যান্ড ড্রাগন্স’  খেলতে ভালোবাসতেন। এখন তিনি সেই আগ্রহ বাস্তব জীবনের এক রোমাঞ্চে রূপান্তর করেন।

নিরাপত্তা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে কলিন্স-ব্ল্যাক গুপ্তধনের বাক্সগুলো সরকারি সড়ক-মহাসড়কের পাশের তিন মাইল দূরত্বের  মধ্যে এমন স্থানে রেখেছেন, যা জনাকীর্ণ নয়। তবে এগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তির মাটির নিচে লুকানো হয়নি।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে তিনি বলেন, ‘সূত্র বুঝতে মেধাবী হওয়ার প্রয়োজন নেই। কৌতূহল, কল্পনাশক্তি আর নতুন কিছু করার ইচ্ছা থাকলেই যে কেউ এই গুপ্তধন খুঁজে পেতে পারবে।’

এটি নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের আর্ট ডিলার ফরেস্ট ফেনের বিখ্যাত গুপ্তধন অনুসন্ধানের কথা মনে করিয়ে দেয়। ফেন ২০১০ সালে রকি পর্বতমালায় ২০ লাখ ডলারের সমমূল্যের স্বর্ণ ও রত্ন লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই অনুসন্ধান দশ বছর ধরে চলে এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করে। তবে তা বেশ বিতর্কও সৃষ্টি করেছিল, কারণ জানা যায়, কমপক্ষে পাঁচ অনুসন্ধানকারী এতে প্রাণ হারান। কিন্তু কলিন্স-ব্ল্যাক জোর দিয়ে বলেন, তার গুপ্তধন অনুসন্ধান অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তা ও ধর্ম-বর্ণসহ সব বয়সীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাকে গুরুত্ব দিয়েই তৈরি করা হয়েছে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর