পশ্চিম তীরে ৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল বাহিনী। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, রোববার (০১ ডিসেম্বর) অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলও এই হামলার কথা স্বীকার করেছে। খবর আরব নিউজের।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েল বাহিনীর জেনিন জেলার সিয়ার গ্রামে দখলদারিত্বের আগ্রাসনের কারণে চারজন নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলের শিন বেটের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার সাথে এক যৌথ বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, “হামলায় একটি সন্ত্রাসী সেলকে নির্মূল করা হয়েছে, তারা গিলবোয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বন্দুক হামলার জন্য দায়ী।” এই হামলার পরপরই ইসরায়েলি সৈন্যরা ওই এলাকায় একটি লক্ষ্যবস্তু অভিযান চালায়। এ সময় তাদের শরীরে তিনটি অস্ত্র খুঁজে পাওয়ারও দাবি করেছে দখলদার বাহিনী।
এর আগে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানায়, আমাদের টিমকে ইসরায়েলি বাহিনী সিয়ারের কাছে বোমা হামলার জায়গায় যেতে বাধা দিচ্ছে। আক্রান্ত গ্রামের একজন বাসিন্দা ফারেস ইরশাইদ এএফপিকে বলেন, “সকালে বিমানগুলো এসে এই এলাকায় বোমাবর্ষণ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পরেই সেনাবাহিনী পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে একে বন্ধ সামরিক অঞ্চল ঘোষণা করে। সেখানে একদল যুবক ছিল, যার মধ্যে আমার ভাগ্নে এবং আমাদের প্রতিবেশীর ছেলেও রয়েছে। আমরা জানি না তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে?”
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ১৯৬৭ সাল থেকেই পশ্চিম তীর দখল করে আছে। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে। রামাল্লা-ভিত্তিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলি সেনা এবং বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৭৮০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, একই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের ওপর ফিলিস্তিনি হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছেন।