বাবলু
ধর্ষন চেষ্টা মামলার আসামি
অবশেষে উলিপুর থানা কর্তৃক গ্ৰেফতার
***************************************************************************************
সুলতান আহমেদ, কুড়িগ্রাম (সিনিয়র সাংবাদিক ও সমাজ গবেষক)
মোঃ শামীম হোসেন ওরফে বাবলু মিয়া (৪৫) ধর্ষণ চেষ্টা মামলার জন্য গ্ৰেফতার হয়েছেন। নিজ এলাকায় তাকে বাবলু হিসেবে বেশী চিনেন বলে অগনিত জনমানুষ জানান।
বাবলুর বাড়ী দলদলিয়া ইউনিয়নের শরফদী (ছাট কাজী পাড়া তেঁতুল তলা)” উলিপুর উপজেলা,কুড়িগ্রাম।
ধর্যন চেষ্টা মামলার বাদী ১জন মহিলা। নাম মোছাঃ কাছিরন বেগম (৪০)ঐ আসামির নিজ এলাকায় তার বাড়ী। ১ম স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের নিরাপত্তার জন্য ২য় স্বামী গ্ৰহন করি।২য় স্বামীর নাম মোঃ ফরীদুল ইসলাম। জীবিকার জন্য প্রায় তিনি রংপুরে থাকেন।বাদিনী একাকী বাড়ীতে থাকায় বাবলু প্রায় “কু”দিয়ে আসত। ঘটনার দিন (১৬/০৬ ২০২৪ ইং) রাত আনুমানিক ০৪ঘটিকার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হওয়া মাত্রই বাবলু মুখে গামছা (কাছিরনের) প্যাঁচানো অবস্থায় টেনে হেঁচড়ে বাদিনর বিছানায় নিয়ে ধর্ষনের জোড় চেষ্টা চালায়। এমতাবস্থায় বাদিনী জোর পূর্বক মুখের গামছা খুলে জোরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে ঐ বাবলুকে ধরে ফেলে দ্রুত থানায় খবর দেয়।
পরবর্তীতে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মর্তুজা সাহেবের হুকুমে আসামিকে ধৃত করে উলিপুর থানায় নিয়ে আসে এবং ধর্ষন চেষ্টা মামলা দায়ের করে কুড়িগ্রাম কোর্টে চালান করেন। গরীবের পক্ষে আইন আছে বলে ও অনেকে মত প্রকাশ করে থানা উলিপুর পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কাছিরনের স্বামীকে জেল থেকে হুমকী দেয় বলেও ফরীদুল নিজেই প্রতিবেদককে জানান। বাবলুর ধর্ষন মামলায় দলদলিয়া শরফদী ছাট কাজী পাড়া তেঁতুল তলা বাকরের হাট এলাকায় তোলপাড় চলছে। উলিপুর থানা প্রশাসনকে অগনিত জনমানুষ ধন্যবাদ জানিয়েছে।যে ধারায় মামলা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৪)এর (খ) । তাং। ২৭ /০৬/২০২৪ ইং (উলিপুর থানা)।