সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

বেইলি রোডে এলাকাবাসীর মানববন্ধন *ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলোর অনুমতি ও ছাড়পত্র পরীক্ষা করে দেখার দাবি*

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৪ বার পঠিত হয়েছে

বেইলি রোডে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
*ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলোর অনুমতি ও ছাড়পত্র পরীক্ষা করে দেখার দাবি*

স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন করেছে ঢাকার শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী ও বেইলি রোড এলাকার বাসিন্দারা। মানববন্ধন থেকে নগরীর ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলোর অনুমতি ও ছাড়পত্র পরীক্ষা করে দেখার দাবি জানানো হয়।

আজ আজ ৪ মার্চ ২০২৪ সোমবার, বিকেল সাড়ে ৪টায়, বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ভবনটির সামনে এই প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বেইলি রোডের বাসিন্দা নারী অধিকার আন্দোলনের প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশিদা কুদ্দুস রানুর সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর মঈনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা ক্বাফী রতন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা সুলতানা স্বাতী, এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উদীচীর জাতীয় পরিষদ সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ মিল্টন, শ্রমিকনেতা হযরত আলী, বেইলি রোড বাসিন্দা রঞ্জনা দেবী সফটওয়্যার প্রকৌশলী কল্লোল বণিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাজী বোরহান, জাহিদ নগর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বেইলী রোডের গ্রিন কোজি কটেজের মত ঝুকিপূর্ণ প্রচুর ভবন রয়েছে এর আশেপাশে ও সারা ঢাকা শহরজুড়ে। এই ভবনগুলো নজরাদারিতে আনা, সংশ্লিষ্ট ভবনগুলোর সকল অনুমতি বা ছাড়পত্র পরীক্ষা ও জনসাধারণের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা বিধান করার দায়িত্ব সরকারের। তারা বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এত বড় বিপর্যয় সংঘঠিত হয়েছে। এটি একটি কাঠামোগত ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।

বক্তারা আরো বলেন, বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন ভিকটিম নারী সাংবাদিককে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক তোলপাড় করা হচ্ছে। অথচ ভবনটির মালিক পক্ষ কারা এখন অব্দি সেটা প্রকাশ করার এবং তাদের আইনের আওতায় আনার কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

বক্তারা বলেন, কোন একটি ঘটনা ঘটার পরে সবাই মিলে কয়েক দিনের জন্য সোচ্চার হওয়া ও কিছু তৎপরতা চলে। আজ পর্যন্ত নিমতলী, চুরিহাট্টাসহ কোন ঘটনারই বিচার অদ্যবধি হয়নি। ফলে এধরনের মৃত্যুকূপের পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে।

বক্তারা আরো বলেন, সারা বছর কাজ না করা রাজউক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরসহ সরকারি সংস্থাগুলো এখন অতি তৎপরতা শুরু করেছে। তারা পাঁচ বছরের নিষ্ক্রিয়তা এক সপ্তাহে ঢাকতে চাচ্ছে। যার ফলে ছোটখাট ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

বক্তারা দাবি জানান, বাণিজ্যিক ও রেস্তোরাঁ ভবনগুলোর বিদ্যমান অনিরাপদ অবস্থাকে শুধরে নিতে অন্তত ছয়মাস মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এত মানুষের জীবনের বিনিময়ে শহরের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিরাপদ জীবন লাভ করুক এটাই সবার চাওয়া। এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা যেন কতিপয়ের উপরি রোজগারের উপলক্ষ্য না হয়।

বক্তারা অবিলম্বে সকল ভবন তদারকি করার দাবি জানান। তারা বলেন, এখনই দেখতে হব এসব ভবন সকল নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়েছে কিনা। নাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যারা ঘুষ খেয়ে দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

বক্তারা বলেন, আমরা আর একটিও নিমতলী, সিদ্দীকবাজার, চুরিহাট্টা, সেজান জুস, তাজরীন কারখানা কিংবা বেইলি রোডের ঘটনা দেখতে চাই না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দিতে হবে।

*বার্তা প্রেরক*

বিল্লাল হোসেন
০১৭৫৪৮৩০০৫৭
শান্তিনগর, সিদ্ধেশ্বরী ও বেইলি রোড এলাকাবাসীর পক্ষে

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর