ঠাকুরগাঁওয়ে ৪০ দিনের আওতায় কাজ শুরু করেন ঐ প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও দেওয়া হয়নি সম্পূর্ণ টাকা‘পরিশ্রম করেছি টাকা কেন দেবে না?’
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
‘আমাদের টাকা আমরা চাই। পরিশ্রম করেছি টাকা কেন দেবে না?’ এমন প্রশ্ন তুলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেন শতাধিক শ্রমিক। রোবাবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গেলে এমনই দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে ঢোলারহাট ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে পিআইও অফিসে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নিজের কাজের টাকা নেওয়ার আশায় বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের ১শ জন শ্রমিক। ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (৪০ দিনের) আওতায় কাজ শুরু করেন ঐ শ্রমিকেরা। শেষ হয় চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি। এই কাজে দৈনিক হাজিরা ৪০০ করে দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি কোনো পারিশ্রমিক। বলা হয়েছিল, প্রকল্প শেষ হলে দেওয়া হবে সম্পূর্ণ টাকা। তবে কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো দেওয়া হচ্ছে না কোনো পারিশ্রমিক। কোনো উপায় না পেয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে পাওনা টাকা চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন। রওশনা, নূর হোসেন, বিশ্বনাথ সহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক বলেন, কাজ যখন শুরু হয় আমাদের দৈনিক হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তখন বলেছে কাজ শেষে টাকা দেবে। কিন্তু এখন কোনো খবর নেই। কতদিন ধরে ঘুরতেছি কেউ পাত্তা দেয় না। চেয়ারম্যানকে বললে তিনি বলেন, এতো অধৈয্যের কী আছে। আমরা সুদের ওপর টাকা নিয়ে পরিবার চালাচ্ছি। আমরা এতো কিছু বুঝি না। আমাদের পাওনা টাকা দ্রুত সময়ে আমরা চাই। এ বিষয়ে ঢোলারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়, সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমারতো এখানে কিছু করার নাই। আমি কাগজপত্র সব পিআইও অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে কথাও বলেছি। তারা বলেছে কিছু সময়ের মধ্যে শ্রমিকেরা টাকা পাবে। একই আশ্বাস দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জাহাঙ্গীন আলম।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
০১৭১৭৫৯০৪৪৪