শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে বকুয়া ইউনিয়নের ভূমিহীনদের আশ্রয়নের ঘর নিয়ে দুর্নীতি, অভিযোগের সমাধান মিলেনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ।

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৪ বার পঠিত হয়েছে

ঠাকুরগাঁওয়ে বকুয়া ইউনিয়নের ভূমিহীনদের আশ্রয়নের ঘর নিয়ে দুর্নীতি, অভিযোগের সমাধান মিলেনি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে ।
মোঃ মজিবর রহমান শেখ,
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় বকুয়া ইউনিয়নের ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেয়ার নাম করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অর্থ লেনদেনের অভিযোগ দেওয়ার ২ বছর পার হলেও মেলেনি কোন সমাধান। নিরুপায় সেই ভুক্তভোগীরা। এদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা যায়, ২০২২ সালে হরিপুর উপজেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম ধাপে ২৬টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে অধিকাংশ ঘর দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছল ব্যক্তিদেরকে। সেই সাথে ঘর দেওয়ার নাম করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের টাকা নেওয়ার প্রমাণ সহ ঐ বছরের ২৬ জুলাই ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কাছে আব্দুল মানিক নামের একজন ভুক্তভোগী অডিও রেকর্ড সহ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা ছিলো, আশ্রয়নের ঘর দেওয়ার নাম করে হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেছেন টাকা না দিলে ঘর বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এরপর ভুক্তভোগী আব্দুল মানিক তার গরু বিক্রি করে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন। সুবিধাভোগীদের নামের তালিকায় নিজের নাম দেখতে না পেয়ে তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। চেয়ারম্যান বলেন, আমি তোমার ফাইল ঢাকায় পাঠিয়েছি। এরপর থেকে চেয়ারম্যানের সাথে আর যোগাযোগ করতে পারেননি ঐ ভুক্তভোগী মানিক। সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়, ঐ ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাছে ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন ঐ চেয়ারম্যান। এর মধ্যে কেউ বিক্রি করেছেন গরু-ছাগল, কেউবা নিয়েছিলেন ঋণ। ভুক্তভোগী মানিক বলেন, আমার এতোগুলো টাকা চেয়ারম্যান মেরে দিলো অথচ কেউ কিছু বললো না। আমি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসককে প্রমান সহ অভিযোগ দিলাম অথচ ২ বছর পার হয়ে গেলেও কোন ফলাফল এলো না। তাহলে দেশে বিচার কি হলো আর?এদিকে তদন্তের বিষয়ে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি শুনানি ডাকা হয়েছিলো। তবে একপক্ষ উপস্থিত না থাকার কারণে শুনানী করা হয়নি। আমরা আবারও একটি সময় দিয়েছি, আশা করি সামনের শুনানীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে হরিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিয়ে কাজ চলমান রেখেছেন। দোষ যেই করুক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘর নিয়ে দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই।

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
০১৭১৭৫৯০৪৪৪

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর