আসন্ন তুয়ারধারা কল্যাণ সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন–২০২৬-২০২৭কে সামনে রেখে এলাকায় নির্বাচনী উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন মামুন হাসান মজুমদার। সামাজিক উন্নয়ন, সংগঠনের কাঠামো শক্তিশালী করা এবং কমিউনিটির সদস্যদের কল্যাণসাধনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
সমিতির দীর্ঘদিনের কার্যক্রম ও সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মামুন হাসান মজুমদার বলেন, “একটি সংগঠনের প্রকৃত শক্তি তার সদস্যদের ঐক্য ও দায়িত্বশীলতার মধ্যে। আমি চাই তুয়ারধারা কল্যাণ সমিতিকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে, যেখানে সবাই নিজের অংশীদারিত্ব অনুভব করবে।”
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি নানা সামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তিনি সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার এই ধারাবাহিকতা ভোটারদের আকৃষ্ট করছে। অনেকেই মনে করছেন, তিনি নেতৃত্বে এলে সমিতির প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিক হবে।
অন্যদিকে, তরুণ সদস্যদের একটি অংশ জানান, মামুন হাসান মজুমদার সবসময় নতুন ধারণা ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেন। তাদের মতে, তিনি দায়িত্ব পেলে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সেবা, স্বচ্ছ আর্থিক ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ এবং সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণভিত্তিক উদ্যোগসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনবেন।
তার সমর্থকরা দাবি করছেন, তিনি এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, সামাজিক সংস্কার, সদস্যদের অধিকার রক্ষা এবং সমিতির কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে প্রস্তুত। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সমস্যায় দ্রুত সাড়া দেওয়া এবং সমিতিকে একটি কার্যকর কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করাও তার অগ্রাধিকার হবে।
এলাকাজুড়ে সাধারণ ভোটারদের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায়, অনেকেই তার বিনয়ের প্রশংসা করেন এবং মনে করেন তিনি সমিতির অভ্যন্তরীণ বিভাজন কমিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন।
ভোটারদের প্রত্যাশা—এবারের নির্বাচন শুধু নেতৃত্ব পরিবর্তন নয়; বরং সমিতির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে। সেই লক্ষ্যেই সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মামুন হাসান মজুমদার এখন সবার নজরে।