একই বছরের ৫ জানুয়ারি ভোরে দুই দফায় ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রংপুর নগরী এবং ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে প্রায় সোয়া মিনিট কম্পন হয়, যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।
একই বছরের ৫ জানুয়ারি ভোরে দুই দফায় ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রংপুর নগরী এবং ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিটে প্রায় সোয়া মিনিট কম্পন হয়, যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।
২০২১ সালের ৬ এপ্রিল রংপুরসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রাত ৯টা ২০ মিনিটে তিন সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১, উৎপত্তিস্থল ভুটানের ছ্যামছি এলাকা। ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ ২ দশমিক ৯ এবং কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে ২. ৪ মাত্রার ভূমিকম্পন হয়।
এদিকে, এই রংপুরসহ এই অঞ্চলকে ভূমিকম্পের রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এত বছরেও এ অঞ্চলকে ভূমিকম্প থেকে সুরক্ষিত করতে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। বরং রংপুর নগরীতে বিল্ডিং কোড না মেনে অবাধে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন। সরকারি নানা পরিত্যক্ত ভবনে এখনও চলছে কার্যক্রম।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে রংপুর নগর ভবন পরিত্যক্ত ভবনের একটি তালিকা প্রকাশ করে। তাতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ট্রেজারি ভবন, সার্কিট হাউজ (পুরাতন)-সহ ৪৭টি সরকারি স্থাপনার নাম রয়েছে। এসব ভবনের কয়েকটি ছাড়া সব ভবনই সাময়িক সংস্কার করে কাজ চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রংপুর শহরে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও তাৎক্ষণিক উদ্ধার কাজের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া যায়, তা নির্ধারণে ২০২০ সালে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে তিন দিনের বৈঠক হয়। রংপুর সেনানিবাসে সেই বৈঠকে ছিলেন সিটি মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। তারা প্রত্যেকেই সুপারিশ আকারে একটি প্রস্তাব পাঠান সরকারের উচ্চ দপ্তরে। সেই প্রস্তাবের অগ্রগতি নিয়ে কেউ কিছুই জানে না।