ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে রিট করা এক নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সদস্যরা। একইসঙ্গে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করে প্ল্যাটফর্মটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহমিনা আক্তার ও মোশাহিদা সুলতানা। তারা জানান, হাইকোর্টে রিট দায়েরকারী এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে ‘গণধর্ষণের হুমকি’ দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলী হুসেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়, যেন ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ভয়াবহ হুমকি দিতে সাহস না পায়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে কী ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হবে, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্টতা নেই। এ কারণে আচরণবিধি বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে, অথচ নির্বাচন কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের উত্থাপিত অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
ভোটার অনুপাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ নিশ্চিত করা
-
ভোটগ্রহণের সময়সীমা বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো
-
ভোট গণনার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা
-
আচরণবিধি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো স্বচ্ছভাবে গ্রহণ ও বৈষম্যমুক্ত রাখা
-
নির্বাচনী দায়িত্ব বণ্টনে কোনো পক্ষপাতিত্ব না করা
-
সাইবার বুলিং ও শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অরুচিকর প্রচারণা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া
-
অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপদে ক্যাম্পাসে আগমন নিশ্চিতে বাস ও ট্রিপ বাড়ানো
-
সাংবাদিকদের জন্য আচরণবিধি প্রয়োগ
-
যৌন হয়রানির ঘটনা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে নিষ্পত্তি করা
শিক্ষক নেটওয়ার্ক জানায়, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতার আলোকে এবারও তারা নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক।
এই রিরাইটটি সংক্ষিপ্ত, সুসংগঠিত এবং তথ্যবহুলভাবে মূল বার্তা উপস্থাপন করে। চাইলে সংবাদ উপস্থাপনের ধরন পরিবর্তন করে আরও বিশ্লেষণধর্মী বা মতামতভিত্তিক করা সম্ভব।
