উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গতকাল রাত থেকে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া বিমানের পাইলট ও এক শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন।
ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, নিহতদের ২০ জনের মরদেহ পরিবারর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একজনের দেহাবশেষ রয়েছে। মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ স্যাম্পল নেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৭৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে জাতীয় বার্নে ৪২, সিএমএইচে ২৮, ঢামেক বার্নে ৩ জন রয়েছেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, রাজধানীর দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে তাদের মৃতদেহ অতিসত্বর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যাবে না তাদের মৃতদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। চিকিৎসা কাজ নির্বিঘ্নে করার স্বার্থে হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটিতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির একাকী আকাশে উড়েছিলেন।
আইএসপিআর জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।