ইরানের পাল্টা হামলার পর বৃহৎ আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়ানো গেছে বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর ধারার অধীনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা হামলাকে বৈধ আত্মরক্ষা হিসেবে উল্লেখ করেন।
শুক্রবার (২৭ জুন) তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইএইইউ) নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের মানবাধিকারের পদ্ধতিগত ও পুনরাবৃত্ত লঙ্ঘনের প্রতি তোষামোদের নীতি বন্ধ করার সময় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সামরিক হামলা সমস্ত আন্তর্জাতিক নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সম্পূর্ণ তত্ত্বাবধানে এ হামলা হয়েছে। এটি পারমাণবিক অপ্রসারণ ব্যবস্থার মর্যাদার উপর অপূরণীয় আঘাত।
তিনি বলেন, ১২ দিনের এই যুদ্ধের সময় জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর ধারার অধীনে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী জনগণ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং ইরানের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করেছে। ইসরায়েলি শাসনের আগ্রাসনের জবাব না দেওয়া হলে এটি অঞ্চলে একটি বিস্তৃত ও অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারত।
ট্রাম্প আরও জানান, প্রথমে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করবে, এরপর ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে এতে যোগ দেবে। মোট ২৪ ঘণ্টা পর এই ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বিশ্বব্যাপী সমাপ্ত হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
তিনি লেখেন, যুদ্ধবিরতির সময় দুপক্ষই শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ বজায় রাখবে। আমরা ধরে নিচ্ছি, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে, যা অবশ্যই হবে। এ জন্য আমি ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশকে সাহস, ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার জন্য অভিনন্দন জানাই।
এই যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারত- এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এই যুদ্ধ বছর বছর ধরে চলতে পারত, কিন্তু তা হয়নি এবং কখনোই হবে না!’
পোস্টের শেষাংশে ট্রাম্প বলেন, ‘গড ব্লেস ইসরায়েল, গড ব্লেস ইরান, গড ব্লেস দ্য মিডল ইস্ট, গড ব্লেস দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা এবং গড ব্লেস দ্য ওয়ার্ল্ড!