বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন

অর্থ/নৈতিক সক্ষ/মতা বৃদ্ধি আমা/দের প্রধান কাজ : শি/ল্প উপ/দেষ্টা..

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
  • ২১ বার পঠিত হয়েছে
কর্ণফুলী পেপার মিল পরিদর্শন করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খাঁন। ছবি : Max tv bd

অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খাঁন বলেছেন, আমাদের দেশের শিল্পগুলোকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এখন আমাদের প্রধান কাজ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মিলের যে যন্ত্রপাতিগুলো আছে এগুলো দিয়ে বেশি ভালো ফলাফল আশা করা সম্ভব নয়। যেহেতু এর সঙ্গে আর্থিক সম্পৃক্ততা আছে, তাই এর প্রাকটিক্যাল দিক নিয়ে কীভাবে সামনে যাওয়া যায় সেটাও ভাবছি।

শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর আড়াইটায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত বিসিআইসির কাগজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি এদিন দুপুর ১২টায় কেপিএম গেস্ট হাউসে মিলের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে এই মিলকে কীভাবে নতুন করে কাজে লাগানো যায় সে চিন্তা করছি। এই মিলের পরিচালনা পদ্ধতি ব্যক্তিমালিকানাধীন হবে নাকি সরকারি মালিকানায় থাকবে এর সম্ভবনা নিয়ে চিন্তা করছি। ২০২২ সালে এই মিলের ওপর যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার যৌক্তিকতা নিয়ে আজকে আমাদের পর্যবেক্ষণ।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে প্রচুর পরিমাণ কাগজ প্রয়োজন, বিদেশ থেকে কাগজ আমদানি না করে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আজকে আমরা সরাসরি কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম) পরিদর্শনে এসে সার্বিক পরিস্থিতি অবগত হলাম। কেপিএমের অনেক জায়গা আছে। কিন্তু বিদেশি ক্যামিকেলের ওপর নির্ভর না করে দেশের কাঁচামাল উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএমের উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব ওবায়দুর রহমান, বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান, কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন, কেপিএম সিবিএ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকসহ কেপিএমর সব বিভাগীয় প্রধান এবং সিবিএ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভার শুরুতে কেপিএম লিমিটেডের এমডি শহীদ উল্লাহ একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এ সময় প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে পাল্প এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মেরামত ও প্রতিস্থাপন করার জন্য ১২০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে একটি নতুন পেপার মিল স্থাপন করা প্রয়োজন।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর