রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার ঘটনায় সন্ত্রাসী পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন ও সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সাভার ও টঙ্গী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৪ এর মিডিয়া অফিসার মেজর মোহাম্মদ আবরার ফয়সাল সাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে হেলমেট ও মুখোশ পরা তিন অস্ত্রধারী মিরপুর ১২-এর বি ব্লকের ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ দোকানে ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব কিবরিয়াকে হত্যা করে।
ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা পালাতে গিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। দ্রুত না চালানোয় তারা চালক আরিফ হোসেনকে (১৮) কোমরে গুলি করে। আহত চালককে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় কিবরিয়াকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা জনি ভূঁইয়া (২৫) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার ওরফে দীনা মঙ্গলবার পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জনিসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন- সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কালু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (28) ও রোকন (৩০)। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনকেও এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে দেখানো হয়েছে। মামলাটি পল্লবী থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঢুকে গুলি চালানো শুরু করে। একজনের পরনে পাঞ্জাবি, দুজনের গায়ে শার্ট ছিল। সবার মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ। ঘটনার সময় দোকানে নয়জন উপস্থিত ছিলেন। দুর্বৃত্তদের একজন গুলি শুরু করলে ভয়ে সবাই বের হয়ে যান। দুজন মিলে কিবরিয়াকে গুলি করে, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে একজন আরও তিনটি গুলি করে দ্রুত বেরিয়ে যায়।