বিএনপি এবার যে ২৩৭ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে, তাদের মধ্যে ১০ জন নারী রয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলেছেন—রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব কমছে। সেই সঙ্গে বলা হচ্ছে, নারী নেতৃত্বের ৩৩ শতাংশও পূরণ করেনি কোনো কোনো দল।
তিনি আরো বলেন, ‘বড় বড় পলিটিক্যাল পার্টি যেগুলো আছে, সেখানে কিন্তু যোগ্য নারী নেতৃত্বের খুব একটা অভাব আছে বলে মনে করি না।
‘বড় দলগুলো ছোট দলগুলোকে একীভূত করে রাজতন্ত্র কায়েম করতে চায় এবং এজন্যই জোটের বিরোধিতা, আরপিও সংশোধনের বিরোধিতার বিষয়টি উঠে এসেছে’ এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা এবার জোটের প্রার্থী হবেন, তাদের যদি দলের নিবন্ধন থাকে, তাদের নিজের দলের মার্কায় নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে দুরকমই যুক্তি আছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের তরফে যেটা বলা হয়েছে—ছোট দলগুলো কখনো বিকশিত হতে পারে না। তারা সবসময় দেখা যায় হয় নৌকার সমর্থন নিয়ে পার্লামেন্টে যাচ্ছে। কখনো ধানের শীষের সমর্থন নিয়ে পার্লামেন্টে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশে দ্বিদলীয় ব্যবস্থা আরো স্ট্রং হতে থাকে। ছোট ছোট দল অনেকগুলো আছে কিন্তু তারা সেভাবে ইন্ডিপেন্ডেন্টলি ফ্লারিশ করতে পারে না। যেন দলগুলো ফ্লারিশ করতে পারে, সে কারণেই বলা হয়েছে এবার যার মার্কা, সেই মার্কাতেই তাকে নির্বাচন করতে হবে।’
বিএনপির এই নেত্রী আরো বলেন, ‘যদি কোনো দলের নিবন্ধন ও প্রতীক থাকে, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি আপনার রাজনীতি কেন করছেন না? মানে আপনি একটা দলের মার্কা নিয়েছেন এবং সেই দলের রাজনীতি আপনি ধারণ করেন, না হলে তো আপনি ধানের শীষ বা নৌকার দলই করতে পারেন। তাহলে একটা ছোট দল রাখবার প্রয়োজনটা কী? এই কথাগুলো সরকারের তরফ থেকে এসছে। অন্যদিকে বিএনপির তরফ থেকে খুব ক্লিয়ারলি বলা হয়েছে—লাস্ট মোমেন্টে এসে যে আরপিওটা সংশোধন হলো, দীর্ঘদিন যারা এই বড় দলের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছে, তাদের তো একটা এক্সপেক্টেশন আছে যে আমরা পার্লামেন্টে যেতে চাই। আমরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে চাই। সেই এক্সপেক্টেশন থেকে হয়তো তারা বড় দলগুলোর সঙ্গে জোট করেছে এবং বড় দলগুলোও একসময় দেখিয়েছে যে আমার সঙ্গে এতগুলো রাজনৈতিক দল আছে। এতগুলো দল মিলে একটা জোট তৈরি হয়েছে। এটার উভয়দিকেই তর্ক আছে।’