অনেক রাতে পঞ্চগড় নামছি। নামার পরে হাঁটতেছিলাম, কোন দিকে হাঁটতেছি আমি জানি না চিনি না, হাঁটতেছিলাম।’
মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজির এই অন্তর্ধান বা নাটক আরেকটি নাটকের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি ছিল প্রায় একই রকম। তিন বছর আগে, ২০২২ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মা রহিমা বেগমকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন মরিয়ম মান্নান। এরপর অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন তিনি।
এমনটিই উঠে এসেছে রহিমা বেগম অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে। মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেদিন বিকেলে মাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান। এর ২০-২৫ দিন আগে ঢাকায় গিয়ে মরিয়ম মান্নানের বাড়িতে কয়েক দিন থেকেও এসেছিলেন রহিমা বেগম।বেশ আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে রহিমা বেগমের নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান। মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে ওই পরিকল্পনা করা হয়। ওই ঘটনার আগেও রহিমা বেগম বহুবার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আবার ফিরে আসেন। ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন।
মরিয়ম মান্নানের মা— অর্থাৎ রহিমা বেগমের এই ঘটনা অনেকেই মনে রেখেছে, কেননা মরিয়ম মান্নানের অতিনাটকীয়তা যেমন সন্দেহ তৈরি করেছিল, তেমনি পরবর্তী সময়ে ট্রোল করাও হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে।
মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর এই নাটকীয়তায় সামাজিক মাধ্যমে মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমের সেই ঘটনাও স্মরণ করছেন অনেকে।