বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন

তিন বছর আগের মরিয়ম মান্নানের মায়ের ঘটনা স্মরণ করালেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ

প্রতিবেদকের নাম
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৯ বার পঠিত হয়েছে
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার টিঅ্যান্ডটি বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী নিজেই পঞ্চগড়ে গিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি হাঁটতে গেছি। হাঁটতে যাওয়ার পর আমার মাথায় এলো যে আমি চলতে থাকি, যাই। কোন দিকে যাই, বলতে পারি না।
একপর্যায়ে আমি অটো পাইছি, অটোতে উঠছি, মীরের বাজার নামছি। নামার পরে মনে চাইল যে আমি জয়দেবপুর যাই। সিএনজি দিয়ে জয়দেবপুর গেছি। এরপরে আমার মাথায় আসলো যে আমি এখন এই বাসে উঠি।
বাসে উঠে শ্যামলী না কোন জায়গায় যেন নামাইছে। এইখান থেকে আমি আরেকটা বাসে উঠে গাবতলী গেছি। ওইখান থেকে মনে চাইল যে আমি টিকিট করি। কই যাব, খেয়াল হইল যে আমি পঞ্চগড় যাই।

অনেক রাতে পঞ্চগড় নামছি। নামার পরে হাঁটতেছিলাম, কোন দিকে হাঁটতেছি আমি জানি না চিনি না, হাঁটতেছিলাম।’

মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজির এই অন্তর্ধান বা নাটক আরেকটি নাটকের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেটি ছিল প্রায় একই রকম। তিন বছর আগে, ২০২২ সালে  জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মা রহিমা বেগমকে আত্মগোপনে রেখেছিলেন মরিয়ম মান্নান। এরপর অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন তিনি।

এমনটিই উঠে এসেছে রহিমা বেগম অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে।  মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগম যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেদিন বিকেলে মাকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান। এর ২০-২৫ দিন আগে ঢাকায় গিয়ে মরিয়ম মান্নানের বাড়িতে কয়েক দিন থেকেও এসেছিলেন রহিমা বেগম।বেশ আগে থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে রহিমা বেগমের নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছিলেন মরিয়ম মান্নান। মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে ফাঁসাতে ওই পরিকল্পনা করা হয়। ওই ঘটনার আগেও রহিমা বেগম বহুবার কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে আবার ফিরে আসেন। ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন।

মরিয়ম মান্নানের মা— অর্থাৎ রহিমা বেগমের এই ঘটনা অনেকেই মনে রেখেছে, কেননা মরিয়ম মান্নানের অতিনাটকীয়তা যেমন সন্দেহ তৈরি করেছিল, তেমনি পরবর্তী সময়ে ট্রোল করাও হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে।

মুফতি  মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর এই নাটকীয়তায় সামাজিক মাধ্যমে মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমের সেই ঘটনাও স্মরণ করছেন অনেকে।

এই নিউজটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও খবর