লক্ষ্মীপুরে বিয়ের আট মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে গাছ থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের মহব্বত আলী মুন্সি বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রুবেল ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের আশার বাড়ির বেল্লাল মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়া আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় রুবেলের। বিয়ের পর থেকেই নানান বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছিল, ঘটনার দিন রুবেল রাতে নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছিল। হঠাৎ শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন আসলে, রুবেলের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথাকাটাকাটি হয় এবং রুবেল বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির দিকে যায়। ভোরে বাড়ির লোকজন গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেনিহতের বোন নয়ন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। আমার ভাইকে নাকি তার স্ত্রীর পছন্দ হয়নি। ঘটনার রাত তাকে ফোন করে আমাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এইটা পরিকল্পিত হত্যা। আমরা এর বিচার চাই।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদরের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’